গাজী আজম হোসেন
গারো পাহাড়ে একদিন
গত ২৭ থেকে ৩০ জুন গাইবান্ধার প্রোগ্রাম শেষে ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু হুট করেই তাহসিন ভাই বললেন তোমরাও আমাদের সঙ্গে চলো। আমরা বালাশীঘাট হয়ে জামালপুর যাব। সঙ্গে রাকিব ভাইও বলছিলেন চলো একটু ঘোরাঘুরি করি। তাহসিন ভাই আহসান ভাইকে বলছিলেন এই সুযোগ আর পাবা না। আমি আর আহসান ভাই রাজি হয়ে গেলাম। ওই দিকে পৌর পার্কে আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন জাহাঙ্গীর ভাই। তাকে সঙ্গে নিয়ে রওনা হলাম বালাশীঘাট।
নৌকায় উঠে খানিকটা মাঝ নদীতে আসার পর হঠাৎ বৃষ্টি। সম্বল হিসেবে আমাদের কাছে একটা পলিথিন। সেটা মাথার ওপর জড়িয়ে নিলাম। বৃষ্টি একবার কমে আবার বাড়ে। বৃষ্টির এই নাটকীয়টা দেখতে দেখতে আমরা চলে এলাম বকশীগঞ্জঘাটে। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টি। পলিথিন মাথায় দিয়ে অনেকক্ষণ ছিলাম। বৃষ্টি কমার কোনো লক্ষণ নেই দেখে ভিজে ভিজেই নৌকা থেকে নামলাম। নৌকা থেকে নেমেই দেখি এক হাঁটু পানি। যাই হোক পার হয়ে এলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা রওনা হলাম জামালপুরে।
জামালপুর এসে একটি আবাসিক হোটেলে রাতটা থেকে সকাল সকাল রওনা দিলাম কামালপুর মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরে। সেখান থেকে লাউচপড়া পিকনিক স্পটে। ঘুরতে লাগলাম পাহাড়ে। গারোদের বসতবাড়ি, স্কুল ইত্যাদি দেখলাম। পাহাড়ে এসে মনে এক অন্য রকম অনুভূতি কাজ করছিল। এদিকে একটি গ্রুপ ছবি যে তোলা লাগে! পাঁচতলা টাওয়ারের ওপরে আমরা ছাড়া কেউ নেই। যেখানে রাকিব ভাই থাকে সেখানে আর কাউকে লাগে লোহার পিলারে তার গামছা প্যাঁচিয়ে মোবাইলে টাইম সেট করে রাখলেন। পটাপট উঠে গেল ছবি। মূলত, এভাবে আমাদের গারো পাহাড় ঘোরা হয়।
"