জেআইএস ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগিতা সম্প্রসারণ
কলকাতা জেআইএস ইউনিভার্সিটি সাফল্যের সঙ্গে শনিবার (২৯ জুন) অ্যাকাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং এর ছাত্রদের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এর ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত, জেআইএস ইউনিভার্সিটি পূর্ব ভারতের বৃহত্তম উচ্চশিক্ষার অংশ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানকে জেআইএস ইউনিভার্সিটির ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইআইটি বোম্বের প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর শুভাশিস চৌধুরী, আইআইটি বোম্বের চেয়ার প্রফেসর কেএন আজাদ, ইউনিভার্সিটি অব হিউস্টন (ইউএসএ) এবং সার্নের (সুইজারল্যান্ড) পদার্থবিদ অধ্যাপক কুমার নায়ক, গুজরাট বায়োটেকনোলজি ইউনিভার্সিটির ডিরেক্টর প্রফেসর অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান ও কাঠমান্ডু বিশ্ববিদ্যায়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ভোলা থাপা, জেআইএস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর এবং জেআইএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সর্দার তারানজিৎ সিং এবং ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ভবেস ভট্টাচার্য।
জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবর্তন আনুষ্ঠানিকভাবে শোভাযাত্রা এবং উদ্বোধন ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয়। সমাবর্তনে ড. মো. সবুর খান একটি অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতা দেন, যা আজীবন শেখার গুরুত্ব, অভিযোজনযোগ্যতা, উদ্ভাবন, নৈতিক দায়িত্ব, বৈশ্বিক নাগরিকত্ব, ডিজিটাল দক্ষতা, নেটওয়ার্কিং এবং সফল ও পরিপূর্ণ জীবনের জন্য ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব প্রদান করে।
সমাবর্তনের একটি উল্লেখযোগ্য হাইলাইট ছিল জেআইএস ইউনিভার্সিটি এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যে অ্যাকাডেমিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং জেআইএস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর সরদার তারানজিৎ সিং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ড. মো. সবুর খান সহযোগিতার চুক্তির বিষয়ে তার উৎসাহ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব যৌথ গবেষণা প্রকল্প, ছাত্র এবং অনুষদ বিনিময় এবং অন্যান্য সহযোগী উদ্যোগের পথ প্রশস্ত করবে, যা উভয় প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা এবং সুযোগ বৃদ্ধি করবে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি শুধু শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রম এবং উৎসর্গকেই উদযাপন করেনি বরং অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপকে চিহ্নিত করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
"