মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর, বাকৃবি
স্বপ্নপূরণের পথে
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ভর্তি হলাম অনেকটা মনের বিরুদ্ধে জোর করে। এরপর কেটে গেছে অনেকটা সময়। হয়েছে নতুন কিছু বন্ধু, নতুন পরিবেশে আস্তে আস্তে মানিয়েও নিয়েছি। ধীরে ধীরে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নটা আবার জেগে উঠেছে। সেই স্বপ্নপূরণের পথে এবার এগিয়ে গেলাম আরো একধাপ।
সম্প্রতি আমাদের ব্যাচের ১৯৭ জন শিক্ষার্থীকে সার্জিক্যাল কিট বক্স দেওয়া হয়। ছুরি, কাঁচি, স্টেথোস্কোপময় জীবনে এবার এলো পূর্ণতা। আর একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়া একজন ভেটেরিনারি ডাক্তার হওয়ার পথে। এইতো আর কয়েকটা সেমিস্টার। তারপর নামের শুরুতে লেখা হবে ডাক্তার।
গত সেমিস্টার থেকেই সার্জারী ক্লাস শুরু হয়েছে। তারও ছয় মাস আগে থেকে শুরু হয়েছে ক্লিনিকে যাতায়াত। এবার সার্জিক্যাল কিট বক্স দেওয়া হলো বাড়তি অনুশীলন করে নিজেকে আরো দক্ষ করে তোলার জন্য। বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের উদ্যোগে ডিভিএম ৫৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন কিট ব্যাগ তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জয়ন্ত ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে কিট বক্স বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, নাভানা ফার্মার ভেটেরিনারি ডিভিশনের হেড অব সেলস ডা. মো. শহিদ হোসেন। এছাড়া ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ৫৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের একটি ভিত্তি প্রদান করি। সেই ভিত্তির উপর শক্তভাবে দাঁড়াতে, নিজেকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা নিজেকেই করতে হবে। আর এই বাড়তি চেষ্টায় সহায়ক হবে সার্জিক্যাল কিট বক্সটি।
শিক্ষার্থীরা সময়ের সদ্ব্যবহার করে সফলতার শিখরে পৌঁছে গর্বিত ভেটেরিনারিয়ান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সার্জিক্যাল কিট বক্স পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরাও। ইফতে খারুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আর কয়েকটা সেমিস্টার পরেই আমাদের ডিগ্রি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তাই এখন থেকে মাঠপর্যায়ে যত চর্চা করতে পারব, তত দক্ষ হয়ে উঠতে পারব। আশা করি, এই কিট বক্স আমাদেরকে একজন মানসম্পন্ন ডাক্তার হিসেবে তৈরি করতে সহায়ক হবে।
জহুরুল হক নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কিট বক্স পাওয়ার পর থেকে ডাক্তার ডাক্তার ভাব চলে আসছে। কোভিডের জন্য কিছুটা দেরিতে হলেও এই কিটবক্স পেয়ে খুব ভালো লাগছে। সবার কাছে দোয়া চাই।
"