সুকান্ত দাস, ইবি
স্মৃতিতে অম্লান একটা দিনের গল্প

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বন্ধুদের ছাড়া আড্ডা জমে না। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ঘোরাঘুরির মজাই অন্যরকম। কয়েক দিন আগে অর্পিতার জন্মদিন ছিল। সে উপলক্ষে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াল আমাদের (আমি, রনি, রতন, অনন্যা, পায়েল) চিংড়ি মাছের মালাই কারি আর কসা মাংস। খুব সুন্দর রান্না করে ও। তবে খাওয়ার সময় বাঁধল বিপত্তি। দুপুর ২টার দিকে অর্পিতার আনা খাবার নিয়ে আমরা জিমনেশিয়ামের সামনে গেলাম যে ওখানে বসে খাব। জায়গাটা মোটামুটি নিরিবিলি এবং গাছের ছায়া আছে। কিন্তু যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হলো ঝড়। আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেল এবং প্রচন্ড জোরে বাতাস শুরু হলো। আমরা তড়িঘড়ি করে খাবার-দাবার নিয়ে ডিএসসিসিতে চলে গেলাম। কারণ ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বাইরে বসে খাওয়া সম্ভব না। টিএসসিসির দোতলায় কাগজ পেতে বসলাম সবাই। একে তো খুব ক্ষুধা লেগেছিল, তার ওপর রান্নার চমৎকার স্বাদ, দ্রুতই সবার খাওয়া হয়ে গেল।
এরপর বিকেলের বাসে আমার কুষ্টিয়া চলে আসার কথা এবং ওদের রুমে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হুট করেই সিদ্ধান্ত হলো বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন শ্রীরামপুরের কাঠের সাঁকোর ওখানে ঘুরতে যাওয়া হবে সবাই মিলে। বিকেলে আমার একটু কাজ ছিল। ওরা সবাই বলল, তাড়াতাড়ি চলে আসবে। অবশেষে আমিও রাজি হলাম এবং সবাই মিলে ক্যাম্পাস গেট থেকে ব্যাটারিচালিত ভ্যানযোগে শ্রীরামপুরের সাঁকোর পাশে পৌঁছালাম। তখন গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিল আর খুব জোরে বাতাস হচ্ছিল।
"