পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দিবসে শিক্ষার্থীদের ভাবনা
২০১৩ সালে চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির। সে সময় ইউনিভার্সিটিতে ৬ জন শিক্ষক, ৪ জন কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারী এবং ছয়টি প্রোগ্রামে ৬৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ইউনিভার্সিটির ১৭০ জন শিক্ষক, ৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা ১৯০ জন। ৪টি অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগের ১৩টি প্রোগ্রাম নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। গত ১৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়টির ১০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। প্রাণের বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ভাবনা শুনে অনুলিখন করেছেন তারানা তানজিনা মিতু
সুন্দর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থায় থাকবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়
দেশের স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মাথা উঁচু করে অবস্থান গ্রহণ করুক বিশ্ব মানচিত্রে। শিক্ষা, গবেষণা, শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রম ও স্বীয় স্বকীয় গুণাবলিতে দেশে-বিদেশে সর্বত্রই অনন্য হয়ে উঠুক আমাদের প্রাণের স্পন্দন স্বরূপ। আশা করব বিগত দিনগুলোর মতোই সুন্দর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ অবস্থায় থাকবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়।
ইমাম হোসেন আসিফ
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ
সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারব
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হতে পেরে আমি অনেক বেশি আনন্দিত। বিভাগের শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনায় এবং বাস্তবিক শিক্ষায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা থেকে একজন সুশিক্ষিত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারব সেই প্রত্যাশা রাখছি।
পার্থ চৌধুরী
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ
মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করে যাবে
১০ বছর খুব অল্প সময় হলেও পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার গুণগুত মানের মাধ্যমে দেশ বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমি আশা করি এই বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ করে যুগ ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, নতুন উদ্ভাবন, মানবিক মূল্যবোধ, মুক্তচিন্তার উন্মেষ ও বিকাশ এবং সৃজনশীলতার চর্চার মাধ্যমে মৌলিক জ্ঞান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কাজ করে যাবে।
ইমতিয়াজ চৌধুরী সোহান
আইন বিভাগ
হাজারো স্বপ্নসারথীর সোপান হয়ে এগিয়ে যাক পোর্ট সিটি
ভর্তির প্রথম দিন থেকেই শিক্ষকদের আন্তরিকতা আমাকে অভিভূত করেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মমতায় ভরা উজ্জ্বল স্বপ্নবাতি, যারা আমাদের পথ দেখাচ্ছেন কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে জীবনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহযোগিতার মনোভাবও অনেক বেশি। যেকোনো প্রয়োজনে সিনিয়র-জুনিয়র সবাই এগিয়ে আসে। ছাত্রজীবনের সবচেয়ে আনন্দের সময়ের মধ্যে অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। ছাত্র হিসেবে আমার যা চাহিদা ছিল তার সবকিছুই আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে একটাই চাওয়া এভাবেই হাজারো স্বপ্নসারথীর সোপান হয়ে এগিয়ে যাক পোর্ট সিটি।
সাবরিনা তানজিন দোলা
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ
স্বল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেক দূর এগিয়ে গেছে
এই স্বল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বিশেষভাবে বলতে গেলে আমাদের জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ভাই-বোনরা দেশের বিভিন্ন মিডিয়ায় ভালো ভূমিকা রাখছে। তা ছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে আমাদের ভার্সিটির ভাই-বোনরা কাজ করে দেশের এবং মানুষের সেবা দিচ্ছে। আশা করি, সামনে আরো ভালো মানুষ ও মানবসম্পদ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে আমাদের প্রিয় ভার্সিটি।
আকরামুল হক শামীম
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ
এটা আমার কাছে খুবই গর্বের
এই বিদ্যাপীঠ সীমিত সময়ের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। এটা আমার কাছে খুবই গর্বের। প্রিয় এই বিদ্যাপীঠটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গুটি গুটি পায়ে ১০ বছরে পদার্পণ করল। অল্প সময়ের এ যাত্রায় শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে সাফল্যের চিহ্ন রাখছে। এ ছাড়া সাংস্কৃতিক, সাংগঠনিক ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমেও বরাবরই অনেকটা এগিয়ে রয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। সামনের দিনগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়টির এই সাফল্য ধারা অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতেই দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও এই ঐতিহ্যময় বিশ্ববিদ্যালয়টির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে।
তারানা তাসমিনা
ফ্যাশন ডিজাইন ও প্রযুক্তি বিভাগ
"