সুকান্ত দাস, ইবি
ইবিতে ‘সায়েন্স অলিম্পিয়াড ও ট্রেজার হান্ট’ অনুষ্ঠিত

ইবিতে প্রথমবারের মতো ‘সায়েন্স অলিম্পিয়াড ও ট্রেজার হান্ট’ আয়োজন করল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব। গত ১২ মার্চ ২০২৩ রবিবার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ‘Science Olympiad and Treasure Hunt competition 2023’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ইসমাতুল ফেরদৌস লিভা ও নিরব হোসেনের সঞ্চালনায় সকাল সাড়ে ৯টায় ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ১৪০ নম্বর কক্ষে প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রোগ্রামটি স্পন্সর করেছে সোহান’স ভার্সিটি অ্যান্ড এডমিশন কোচিং কুষ্টিয়া।
ওই প্রোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ ও ক্যাম্পাসসংলগ্ন স্কুল ও কলেজের প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
ওই প্রতিযোগিতার সায়েন্স অলিম্পিয়াড সেকশনটি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এ তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আব্দুর রহমান, দ্বিতীয় হয়েছে ইইই বিভাগের তাহমিদ আব্দাল এবং তৃতীয় হয়েছে ফার্মেসি বিভাগের মোসা. তানিয়া খাতুন। কলেজ ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের জিহাদুর রহমান, দ্বিতীয় হয়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের আলভী রাফসান এবং তৃতীয় হয়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ইকরাম আলভী এবং স্কুল ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ফাহিম মাহমুদ, দ্বিতীয় হয়েছেন কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের তানভীর আনজুম এবং তৃতীয় হয়েছেন ঝিনাইদহ কালেক্টরেট স্কুলের উম্মে মোমিনিনা।
এ ছাড়া প্রোগ্রামের অন্যতম আকর্ষণ ট্রেজার হান্টে ১০টি টিম অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছেন টিম মেটা-ফোর
প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহজাহান আলী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন, এপ্লাইড নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাম্মী আকতার এবং জিওগ্রাফি অ্যান্ড ইনভাইরোনমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ইনজামুল হক সজল।
এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সোহান’স ভার্সিটি ও এডমিশন কোচিংয়ের পরিচালক ও স্বত্বাধিকারী তাঁতি মো. নাহিদুল ইসলাম সোহান।
প্রোগ্রামে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহজাহান আলী বলেন, আধুনিক যুগে বিজ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই। এ জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন কিছু জানার বোঝার ও শেখার এ সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব।
ওই প্রোগ্রামের টাইটেল স্পন্সর সোহান’স ভার্সিটি এডমিশন কোচিংযের স্বত্বাধিকারী নাহিদুল ইসলাম বলেন, ইবির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিক্ষার্থীর মেধা বিকশিত হওয়ার এ মাধ্যম সবার সামনে উপস্থাপন করার জন্য সায়েন্স ক্লাবের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এ ছাড়া তিনি এ রকম বিজ্ঞানভিত্তিক কার্যক্রমের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রোগ্রামের সমাপনী বক্তব্যে সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই একটিভিটিগুলো একজন শিক্ষার্থীকে এগিয়ে রাখে বহু গুণ। তাই নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করতে ও একটি স্বপ্নবাজ বিজ্ঞানমনস্ক মেধাকে যাচাই করতে এ সায়েন্স অলিম্পিয়াডের আয়োজন।
"