নাসরিন সুলতানা হিরা, চবি

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

চবিতে মীরসরাইয়ের ছাত্র-শিক্ষকের মিলনমেলা

মীরসরাই স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মীরসরাইয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সামাজিক কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি উন্মুক্ত বিদ্যাপীঠ। যেখানে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন কেন্দ্রিক সম্পৃক্ততায় একই সমাজের বিভিন্ন চিন্তাধারার মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। সংগঠন হলো একই সমাজে সংস্কৃতির কিছু মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রতি বাড়ানোর এক মিলনস্থল। যে মিলনস্থলে সবার সঙ্গে সবার ভাব আদান-প্রদানের মধ্য দিয়ে কিছু সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। মীরসরাই স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তেমনি একটি ভ্রাতৃত্বধর্মী সামাজিক সংগঠন।

মীরসরাই স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে আয়োজন করা হয়েছে ‘ছাত্র ও শিক্ষক মিলন মেলা’র। এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসব মো. হেলালউদ্দীন নিজামী স্যার, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ সহিদ উল্যাহ স্যার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা তুজ জোহরাসহ মীরসরাইয়ের বেশ কিছু কৃতী শিক্ষক। সেইসঙ্গে উপস্থিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেশনে অধ্যায়নরত এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক্ষকরা তুলে ধরেছেন, তাদের ছাত্রজীবনের নানা হাস্যরসাত্মক স্মৃতি, সেইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সব কাজ করার পরামর্শ দেন। আলোচনার সভার পরে মীরসরাই স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেক কাটার আয়োজন করা হয় এর পরে চলে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর্ব। আর খাওয়া-দাওয়া পর্বের পরই শুরু হয় মেয়েদের বালিশ খেলা, ছেলেদের মোরগ লড়াই। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল কবিতা এবং নাচ। উক্ত অনুষ্ঠানে মীরসরাই উপজেলাকে ঘিরে ছিল কুইজেরও আয়োজন। তা ছাড়া আরেকটি চমকপ্রদ বিষয় ছিল র‌্যাফেল ড্র। লটারিতে সেরা ২০টি বিজয়ী পুরস্কারের ব্যবস্থা ছিল। এই দিনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালেেয় বোটিনিক্যাল গার্ডেনে ছাত্র শিক্ষক সবার অংশগ্রহণে আনন্দঘন এক উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। হারিয়ে যাওয়া কোনো জিনিস ফিরে পেলে মানুষ যেমন আনন্দিত হয়, আমরাও সবাই একত্রিত হয়ে তেমনি আনন্দিত হয়েছিলাম, সেই মুহূর্তে। এমন আয়োজন সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়রদের এবং শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীর সেতুবন্ধন সৃষ্টিতে অন্যন্য ভূমিকা পালন করে। যুগ-যুগান্তর ধরে আমাদের ভাতৃত্বের সঙ্গে পথচলা অব্যাহত থাকুক এবং অটুট থাকুক নিঃস্বার্থ এই সম্প্রীতির বন্ধন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close