রায়হান আবিদ, বাকৃবি

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ছেলে বেলায় ফিরে যাই আমরা

শীতের আমেজ কমতে না কমতে হঠাৎ মনে হলো সবাই মিলে চড়ইভাতি করলে কতই না মজা হবে। সে ভাবনা থেকেই পৌষ মাসের এক স্নিগ্ধ দুপুরে শুরু হয় আমাদের আয়োজন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২১০ একরে কোথায় আমরা পশুপালন অনুষদের গ্রুপটি চড়ুইভাতির আয়োজন করলে ভালো হয় সেটা সবাই ভাবতে শুরু করলাম। অনেক জায়গা বিবেচনা শেষে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত বৈশাখী চত্বরে আয়োজন করব বলে ঠিক করি। শুরু হলো চড়ুইভাতির আয়োজন। এই ভিন্ন ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছেলে বেলায় ফিরে যাই আমরা।

সকালে ওঠে বাজার করা শুরু। উৎস, আদনান, অনিকেরা মিলে চাল, মুরগিসহ অন্যান্য বাজার সংগ্রহ করে। এরপর সবাই মিলে সকাল ১০টায় বৈশাখী চত্বরে মিলিত হই। একে একে সবাই চলে আসে নির্ধারিত জায়গায়। চুলা তৈরি, হাঁড়ি-পাতিল আনাসহ সব আয়োজন যেন আনন্দ বাড়িয়ে দেয় কতশত গুণ সেটা হয়তো জানা নেই। সবার মধ্যে বন্ধুত্ব আর পারস্পরিক আন্তরিকতার ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে। কেউ রক্তের বন্ধনের না হলেও বন্ধুত্বের সম্পর্কের টান যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে গাঁথা। ব্রহ্মপুত্র নদের বহমান ধারার পাশে মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে গাছের পাতা। শুরুতে চুলা তৈরির কাজ শুরু করল ছেলেরা। মেয়েরা হল থেকে হাঁড়ি-পাতিল, কড়াই নিয়ে আসে আর ছেলেরা নদের পাশে থেকে পানি নিয়ে আসে। সবার মাঝে এক অন্য রকম আনন্দ বেখায়ালি মনে হঠাৎ হাসি নিয়ে আসে। রান্না হচ্ছে, টমেটো-শশা কাটা প্রায় শেষ না হতেই মিষ্টি নিয়ে চলে এলো আলাউদ্দিন।

এবার খাবারের পালা হলো। সবাই একসঙ্গে গোল হয়ে বসে খাওয়া শুরু করলাম। খাওয়ার পাশাপাশি শুরু হলো আড্ডা। ক্যাম্পাস জীবনের অনেক স্মৃতি তৈরি হয়। তবে কিছু স্মৃতি কখনো ভুলার নয়। খাওয়া শেষে এবার গানের কলি, ট্রুথ অ্যান্ড ডেয়ারসহ নানা বিনোদনমূলক খেলাও ছিল আনন্দের। হয়তো এটাই শেষ চড়ুইভাতি আমাদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close