মিনহাজুল ইসলাম

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩

গ্রিন ইউনিভার্সিটির আয়োজনে শুরু হচ্ছে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট

প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিয়াডখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (আইসিপিসি) এশিয়াধীন ঢাকা অঞ্চল প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। আসরে প্রাথমিক রাউন্ড আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি অনলাইন এবং মূল প্রতিযোগিতা পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। গ্রিন ইউনিভার্সিটির সিন্ডিকেট কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, আইসিপিসির কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ার এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো সাইফুল আজাদ, ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাবুদ্দিন, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সরোজ মেহেদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, বিশ্বখ্যাত এই প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বের মক টেস্ট ১১ ফেব্রুয়ারি এবং মূল প্রতিযোগিতা ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক পর্বে বিজয়ীদের ফাইনাল পর্বের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ১৭-২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে; যার মক টেস্ট ১০ মার্চ এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিকভাবে প্রোগ্রামিংয়ে অংশগ্রহণে ইচ্ছুকরা ৩৯০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। চূড়ান্ত পর্বের রেজিস্ট্রেশন ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা। রেজিস্ট্রেশন লিংক https://icpc.green.edu.bd এ আসরে সরকারের আইসিটি বিভাগের সহায়তায় সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকছে ইউএস-বাংলা গ্রুপ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।

আয়োজক কমিটির সভাপতি ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ বলেন, ‘দেশের শীর্ষ প্রোগ্রামার ও কম্পিউটার প্রফেশনালদের সঙ্গে খ্যাতিমান শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আইসিপিসি আসর। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলগুলো মিসরে অনুষ্ঠেয় আইসিপিসির ৪৬তম আসরের মূলপর্বে দেশের হয়ে লড়ার সুযোগ পাবেন।’ তথ্য মতে, বিশ্বের প্রাচীনতম, বৃহত্তম এবং সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতি বছর এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন। যাতে প্রতি দলে তিনজন শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে। আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আইসিপিসি ফাউন্ডেশন।

তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রতি বছর বিশেষভাবে আয়োজিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি)। এ বছরই প্রথমবারের মতো আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালের ৪৫তম আসরের আয়োজন করছে বাংলাদেশ। চীন, জাপান এবং থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশ এশিয়ার মাত্র চতুর্থ দেশ যারা এ ইভেন্টের আয়োজক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার গত আসরে (৪৪তম) এশিয়া-ওয়েস্ট রিজিয়নে (পশ্চিমাঞ্চলে) প্রথম স্থান অর্জনসহ বাংলাদেশের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছিল। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এই পর্বে বিশ্বের ১১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছিলেন। আইসিপিসির পরবর্তী ৪৬তম চূড়ান্ত আসর এ বছর মিসরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

গত বছর ৪৫তম আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সেবার ৭০টি দেশের ১৩৭টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

প্রসঙ্গত, আইসিপিসির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সাল থেকে। যদিও ১৯৭৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এ আয়োজনের দায়িত্বে ছিল কম্পিউটারের বৈজ্ঞানিক গবেষণার অন্যতম বৃহৎ ও পুরোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি (এসিএম)। বাংলাদেশে ১৯৯৭ সালে প্রথম নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছিল এ প্রতিযোগিতা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close