মোহাম্মদ এনামুল হক
সিআরবির মনোরম পরিবেশে বিটিসিএলএফ-এনইউ শাখার সাহিত্য আড্ডা
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম মহানগরীর অতি প্রাচীনতম স্থাপনার নাম সিআরবি। এটির পূর্ণ রূপ হচ্ছে সেন্ট্রাল রেলওয়ে ভবন। কালজয়ী ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে সিআরবি ভবন। নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে কিছুটা স্বস্তি, আরাম আর মানসিক প্রশান্তির খোঁজে সময় পেলে মানুষ জমায়েত হয় এই শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে। পুরো এলাকায় দৃষ্টিনন্দন আঁকাবাঁকা, সর্পিল রাস্তা উঁচু নিচু সবুজ পাহাড় টিলা, বন-বনানী ছায়া সুনিবিড় এই বিরাট এলাকাটি অঘোষিত ভ্রমণের জায়গা হিসেবে যুগ যুগ ধরে চট্টগ্রামের মানুষদের দিয়ে আসছে বিনোদনের আস্বাদন। তেমনই একটি আয়োজন আমরা সিআরবিতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আর আয়োজনটা যদি হয় লেখালেখিবিষয়ক আড্ডা তাহলে তো আরো বেশ চমৎকার। বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নভেম্বর মাসের আড্ডাটা তাই সিআরবিতেই অনুষ্ঠিত হয়। আমরা যেহেতু সবাই লেখালেখি পছন্দ করি এবং এ বিষয়ে আড্ডা দিতে চাই তাই সবাই চেয়েছিলাম মনোরম পরিবেশ, যেখানে মন খুলে কথা বলা যাবে। সমাজের অসংগতি ও বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। আমাদের যেমন কথা তেমনই কাজ। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে সেখানে সবাই একত্রিত হলাম। এর পেছনে আরেকটি কারণ রয়েছে। আমরা যেহেতু সবাই শিক্ষার্থী তাই শুক্রবার ছাড়া অন্যদিন সুযোগ ছিল না। নির্ধারিত সময়ে আমরা সবাই সিআরবিতে পৌঁছালাম। সেখানে গিয়ে দেখি উপস্থিত রয়েছেন, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য গাজী আরাফাত, সাজ্জাদ রাকিব, রেদুওয়ান, রায়হান সিদ্দীকি, জেরিন, জিকুসহ আরো অনেকে। এর কিছুক্ষণ পর আমাদের এই শাখার সভাপতি আজহার মাহমুদ ভাইয়াও হাজির হন। আমরা সবাই গোল করে বসতে বসতে আরেকজন সদস্য আসমা আক্তার জাকিয়া এসে উপস্থিত।
এরপরই আমাদের আড্ডাময় আলোচনা শুরু হয়। আমরা কীভাবে চিঠিপত্র, কলাম, কবিতা, ফিচার ই-মেইলে লেখা পাঠাতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে নিয়ে। যেগুলো শিক্ষণীয় ছিল সবার জন্য। পৃথিবীতে অনেক রকমের মানুষ রয়েছে, এদের মধ্যে কিছু মানুষ নিজেদের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছুই বোঝে না। আবার কিছু মানুষ রয়েছে যারা অন্যের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। আর মানুষ মহৎ হয় তার মানবিক গুণাবলির মধ্য দিয়ে। আলোচনায় এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সভাপতি আজহার মাহমুদ। আমাদের আলোচনার পাশাপাশি ছিল নাশতার আয়োজন। এরপর সবাই তৃপ্তি নিয়ে ফিরেছি যার যার বাসায়। এভাবেই আমাদের আড্ডার সমাপ্তি হলো। যদিও এমন আড্ডা ছেড়ে আসতে কারো ইচ্ছা করবে না। তবে আমরা ভবিষ্যতে আরো সৃজনশীন আড্ডা দেব সেই কথা রেখেই বিদায় নিয়েছি।
"