‘তারুণ্যের বাতিঘর’
দেশের ব্যতিক্রমী এক বাতিঘর! যেখানে নেই র্যাগিংয়ের অপসংস্কৃতি কিংবা ছাত্র রাজনীতি। ধূমপান মুক্ত ৩২ একরের শিক্ষাঙ্গন। বছরজুড়ে শিক্ষা, গবেষণা ও সহশিক্ষায় বর্ণিল হয়ে থাকে এই শিক্ষানগরী। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে গড়ে ওঠা গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির গল্প জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন এবং রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ। যার চুম্বক অংশ তুলে ধরেছেন মো. রাকিবুল হাসান
‘সবাইকে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়’
শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলাই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য। তারুণ্যের স্বপ্ন পূরণের শিক্ষাকেন্দ্র এটি। গবেষণা ও বিদেশি ডিগ্রি অর্জনে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন আমাদের শিক্ষকরা। ইন্টারনেট, লাইব্রেরি ও জিমনেসিয়াম সুবিধা রয়েছে এই বিদ্যাপীঠে। সহশিক্ষা-খেলাধুলায় আগ্রহীদের জন্যও আছে সুবর্ণ সুযোগ। শুধুমাত্র গবেষণা ও সহশিক্ষার অগ্রগতিতে বাৎসরিক ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে ও শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজন করা হয় নানা সেমিনার-কর্মশালার। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতে আউটকাম বেইজড এডুকেশন (ওবিই) কারিকুলামের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছে পাঠ্যক্রম। আশার কথা; আসনের চেয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্র-শিক্ষক, শিক্ষক-প্রসাশন, ছাত্র-প্রসাশন সবাইকে নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়। সকলের সুসম্পর্কের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ঘটে।
অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন
উপাচার্য, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
‘ডিজিটালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়’
নব্বই দশকের এই শিক্ষালয়ে চালু হয়েছে ইন্ট্রিগেশন এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। যার আওতায় ডিজিটাল ও অনলাইনে সেবা নিতে পারবেন সকলে। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিভাগে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে পাঠদানও চলছে। শিক্ষার্থীদের উন্নত ভৌত অবকাঠামো সুবিধা নিশ্চিতে আবাসিক হল, মুক্তমঞ্চ, সুইমিংপুল ও হাইটেক ক্যান্টিন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদ যাত্রা শুরু করে। ব্যতিক্রমী ধারাবাহিকতায় এবার উন্মোচন হবে এগ্রিকালচার, ফিসারিজ ও এলএলএম প্রোগ্রাম, যা বেসরকারি শিক্ষাঙ্গনে অনন্য। আমাদের গ্রাজুয়েটরা সমাবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছেন। অচিরেই এই অপেক্ষারও অবসান ঘটবে। পথচলার ২৫ বছরে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ঢাকা-চন্দ্রা-মানিকগঞ্জ রুটের বাস? ২০২৩ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের র্যাংকিং-এ সেরা ১০ আনতে আমরা সংকল্পবদ্ধ।
কৃষিবিদ এস. তাসাদ্দেক আহমেদ
রেজিস্ট্রার, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
"