মো. মিরাজুল আল মিশকাত, হাবিপ্রবি

  ২২ নভেম্বর, ২০২২

হাবিপ্রবিতে গবেষণা গ্রন্থ লেখার ওপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (হাবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (আইআরটি) সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের সায়েন্টিফিক পেপার, থিসিস লেখা এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণের ওপর চার দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামণ্ড২ এ প্রথম দিনের কর্মশালাটি শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার, বিজ্ঞান অনুষদের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. বলরাম রায়, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাফিয়া আখতার এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মেহেদী ইসলাম। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (আইআরটি) পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম হারুন-উর-রশীদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইআরটির সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. বেগম ফাতেমা জোহরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমি প্রথমেই গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানকে। যার সুদীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ, পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান পেয়েছে আমাদের এই প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। ৩ নভেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে ১৫ আগস্টের পর একটি কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব ও মেধাশূন্য করতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান এই জাতীয় চার নেতাকে ঘাতকরা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। যাদের অশেষ ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা প্রিয় মাতৃভূমিকে পেয়েছি’। এ সময় উপাচার্য আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে যাচ্ছেন। এই গঠন প্রক্রিয়ায় গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ফোরামে গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে বলেন, একটি দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যত বেশি গতি পাবে সেই দেশের উন্নতি তত বেশি ত্বরান্বিত হবে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির যে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এজন্য আমি আইআরটির পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই’। এ সময় হাবিপ্রবির উপাচার্য উক্ত কর্মশালাটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এদিকে, প্রধান অতিথির শুভেচ্ছা বক্তব্যের আগে বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরা শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এবং অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্ব শেষ হয়।

পরে, থিসিস লেখার কৌশলের ওপর প্রথম সেশনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন হাবিপ্রবির উপাচার্য। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে অংশ নেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. বলরাম রায়, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাত হোসেন সরকার, ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর কবির, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সবুজ আলী। উল্লেখ্য, উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদের ১১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালাটি গত বছর থেকে আইআরটির মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে ব্যাগ উপহার দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close