মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

  ০২ অক্টোবর, ২০২২

ক্যাম্পাসে জন্মদিন উদযাপন

প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে সেরা সময় কাটে ক্যাম্পাস লাইফে। এই সময়কালে প্রত্যেকের জীবনে অতুলনীয় স্মৃতির সৃষ্টি করে। তেমনি এক স্মৃতি ক্যাম্পাসে সবার সাথে নিজের জন্মদিন উদযাপন। জন্মদিন প্রত্যেকের কাছে বছরের প্রতীক্ষিত একটি দিন। জন্মদিবস পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে একত্রিত হওয়ার একটি সুযোগ। একসঙ্গে কিছু সময় আনন্দে কাটানোর বা অভিনন্দন জানানোর একটি উপলক্ষ এটি। সকলে মিলে ক্যাম্পাসে জন্মদিন উদযাপন দিনটিকে আরো মধুর করে তুলে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে বন্ধুদের জন্মদিন উদযাপনে আনন্দ যেন শতগুণে বেড়ে যায়। চারদিকে বন্ধু বান্ধবীদের আনন্দ উল্লাস আর দুষ্টুমিতে বছরে একাধিকবার জন্মদিন পালনের ইচ্ছে জাগে! এমনই আনন্দের জোয়ার বয়ে যেত পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্মদিনে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্যাম্পাসে জন্মদিন উদযাপনের প্রবণতাটা একটু বেশিই বলা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ক্যাম্পাসে আনন্দ উল্লাস নিয়ে জন্মদিন পালন করেনি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। বন্ধুদের উপস্থিতি জন্মদিনের আনন্দ যেন একধাপ বাড়িয়ে দেয়। প্রতিটি বিভাগের প্রত্যেকটা ব্যাচের প্রায় সবারই জন্মদিন উদযাপন করা হয়ে থাকে। জন্মদিনকে স্মৃতিময় করে রাখতে ক্যাম্পাসে বন্ধুরা মিলে ছোট করে হলেও কেকের আয়োজন করে। বন্ধুদের কেক নিয়ে সারপ্রাইজ দেওয়া, তারপর ক্লাসে সহপাঠী ও শিক্ষকমন্ডলীর সাথে জন্মদিন উদযাপন এবং রাতে সিনিয়র, জুনিয়র সবাইকে নিয়ে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়া। ক্যাম্পাসে জন্মদিন উদযাপন সত্যিই অনেক আনন্দের। আর এ আয়োজনই সময় পেরিয়ে যাবার পর স্মৃতি হয়ে থাকে।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা জন্মদিন উদযাপন করে থাকে। এগুলোর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের পাশে বার্থডে চত্বর অন্যতম। এছাড়াও ভিসি ভবনের সামনে, পেছনের বটতলায়, রফিক ভবনের নিচতলা ও চতুর্থ তলায়, কাঁঠাল তলায়, কলা ভবনের সামনে, মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জন্মদিন উদযাপন করতে দেখা যায়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে, শান্ত চত্বরে, দ্বিতীয় ফটকের সামনেও বন্ধুরা মিলে বন্ধুদের জন্মদিন উদযাপন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর কক্ষেও যুক্ত থাকা সদস্য ও নেতৃত্বের জন্মদিন উদযাপন করা হয়। পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হয়েছে ছাত্রীহলের কক্ষে বার্থডে সেলিব্রেশন। আর কোথায় জায়গা না পেলে বিভাগের ক্লাসরুম তো আছেই। শুধুমাত্র বন্থুরাই নয়, জন্মদিন উদযাপনে শামিল হয় সিনিয়র-জুনিয়র ভাই, আপু সহ অনেকেই।

জন্মদিন উদযাপনে সবাই মিলে একসাথে কেক কাটে। যার জন্মদিন কেকে তার নাম বড় করে লেখা থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে ছদ্মনামও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেট কাটার সময় সবাই একসাথে বলে ওঠে ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’। এসময় এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জন্মদিন উদযাপনের সময় পার্টি স্প্রে ছড়াছড়ি তো আছেই আর সাথে রয়েছে কেক মাখামাখি। কারো কারো জন্মদিন আবার একাধিক বারও উদযাপন করা হয়। বন্ধুরা মিলে, আবার বড় ভাই ছোট ভাই মিলে, আবার সংগঠনের পক্ষ থেকে কিংবা এলাকাভিত্তিক মানুষজনও ক্যাম্পাসে আলাদা আলাদা করে জন্মদিন উদযাপন করে থাকে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বর্তমান ট্রেন্ড মুখে আটা মাখানো আর ডিম ছুঁড়াছুঁড়ি খুব কমই দেখা যায়। জন্মদিন উদযাপনের পরই আসে ট্রিট নেওয়ার পালা। আর এভাবেই ক্যাম্পাসে বন্ধুদের জন্মদিন উদযাপন করে দিনটিকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মরণীয় দিন করে রাখা হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close