শাকিল বাবু

  ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

‘গবেষণার মান বৃদ্ধি করতে হবে’

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব নজরুল স্টাডিজের ২০২০-২১ অর্থবছরের গবেষণা প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় আরো ছিলেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান।

সেমিনারে ১৫ গবেষক তাদের গবেষণা অগ্রগতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। তাদের গবেষণার বিষয় ছিল- মো. কাহারুল ইসলামণ্ড ‘নজরুলের চেতনায় মানবতাবাদ : একটি দার্শনিক বিশ্লেষণ’, মো. হুমায়ুন কবির- ‘সাংবাদিক নজরুলের দৃষ্টিতে ঔপনিবেশিক ভারত’, ধর্ম নারায়ণ রায়- ‘কবি নজরুলের ম্যুরাল ও ভাস্কর্য : বিষয়বৈচিত্র্য ও নান্দনিকতা’, মো. আশরাফ উল্লাহ- ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুল জয়ন্তী : শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, শিল্পী ও শিল্পবোদ্ধাদের মতামত’, জবা রায়- ‘নিসর্গনারীবাদের প্রেক্ষিতে নজরুলের কবিতায় নারীর চিত্রায়ন’, কনক কান্ত চৌধুরী- ‘নজরুলের লেটোগান : বিষয় ও আঙ্গিক সমীক্ষণ’, মো. এনামুল করিমণ্ড ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুলের নাটক প্রযোজনায় কার্যকর নির্দেশনাশৈলী অনুসন্ধান’, সেজুতি ধর- ‘নজরুলের গল্পে লোকভাষা : সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের আলোকে’, বায়েজিদ হাসান- ‘তৎকালীন বাঙালির বাস্তব জীবন ও নাগরিক পরিমন্ডলে ‘মৃত্যুক্ষুধা’, তৌহিদুর রহমান তুহিন - ‘সেতু-বন্ধন নাটকে কাজী নজরুল ইসলামের পরিবেশ ভাবনা’, কোহিনূর রহমান- ‘নজরুলের ইসলামি গান : প্রসঙ্গ না’ত-এ রসুল’, নাজমা খাতুন- ‘কাজী নজরুল ইসলামের নাট্য-জগৎ : বিষয় ও শিল্প স্বাতন্ত্র্য’, জাকিয়া সুলতানা- ‘কাজী নজরুল ইসলামের চিঠি ও অভিভাষণ : বিষয় ও ভাষাশৈলী’, প্রতীতি সরকার প্রীতি- ‘Women in poetry of Kayi Nayrul Islam: Astdyu from gender Perspective’ ও মো. সাজ্জাদ হোসেন- ‘নজরুল রচিত শিশুতোষ নাটক: বিষয়বৈচিত্র্য ও চরিত্রায়ণ’।

সেমিনারে গবেষকদের প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘আমাদের গবেষকরা তাদের কার্যক্রম ঠিকঠাকমতোই করে চলেছে। তাদের গবেষণার বিষয়গুলো অত্যন্ত ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এড়িয়াটা ছোট করা দরকার। এত বড় এড়িয়ার কোনো দরকার নেই। ভূমিকা, পরিপ্রেক্ষিত এত দিয়ে এটাকে একেবার কঠিন করার কোনো দরকার নেই। বরং মান যেন ভালো হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পরিমাণের যেন খোঁজ না করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘গবেষকরা তাদের গবেষণা কাজ শেষ করার পর একটা করে সফ্ট কপিও জমা দিবে। যা আমরা আমাদের ডেভেলপকৃত ওয়েবসাইটে দিয়ে দিব, যাতে সারা পৃথিবীর মানুষ এটা দেখতে পারে। তাতে আমাদের নিজস্বতা যেমন থাকবে, তেমনি চর্বিত চর্বণ করা, কারো কাছ থেকে হুবহু নিয়ে করা সেই ভয়টা কমে যাবে। কারণ যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে ধরা পড়ে তাহলে সেটা কিন্তু শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close