হাসিব মীর, গণ বিশ্ববিদ্যালয়

  ২১ জুন, ২০২২

কেন পড়ব গবির আইন বিভাগে?

বটতলার উকিল হবা? মিথ্যা কথার ব্যবসা করতে চাও? প্রায়ই এমন শত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আইনের শিক্ষার্থীদের। আইন পড়লেই মানুষ ধারণা করে জজ, ব্যারিস্টার, শিক্ষক কিংবা উকিল। তবে এ ছাড়াও আইন পেশায় রয়েছে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার।

আইন পেশার পাশাপাশি কলা ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশ কর্ম কমিশন (বিসিএস), সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

‘জুডিশিয়াল সার্ভিস’ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ কেবল আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরাই পেয়ে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, ভূমি অধিদপ্তর, দূতাবাস, আইন কর্মকর্তা, দেশে ও দেশের বাইরে সাইবার ক্রাইম, ইমিগ্রেশন, স্পোর্টস ও মিডিয়ার আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ। চাইলে চলচ্চিত্রের আইন পরামর্শক বা কোর্টরুম বিষয়ক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যকারও হতে পারেন।

আইনের বিষয়গুলো লিখে হওয়া যায় জন গ্রিশামের মতো লেখকও। শুধু তাই নয় ক্রীড়াঙ্গন, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা, রাজনীতি, ডিবেটিংসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলছে আইনের শিক্ষার্থীরা।

আইন পড়ার সুযোগ যেমন আছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, তেমনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) অন্যতম। গবিতে আইন বিভাগের যাত্রা শুরু হয় ২০০৯ সালে।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও আইনজ্ঞ কর্তৃক এ বিভাগের একাডেমিক সিলেবাস প্রণীত এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক অনুমোদিত। এখানকার অধিকাংশ শিক্ষক হাইকোর্ট ও জজ কোর্টের তালিকাভুক্ত আইনজীবী এবং সাবেক বিভাগীয় প্রধান ছিলেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। বাস্তব শিক্ষাটা তাই সহজেই লুফে নেওয়া যায়।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ৪২ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। গৌরবের সঙ্গে তারা দেশের বিভিন্ন আদালতে প্র্যাক্টিস করছে। জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অনেকেই আশা দেখাচ্ছেন বিজ্ঞ বিচারক হওয়ার।

গবির আইন বিভাগের জন্য রয়েছে ৫০টি আসন। স্নাতক পর্যায়ে ১৩০ ক্রেডিট পড়ানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়তে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ন্যূনতম জিপিএ ২.৫ পেতে হবে। প্রতি ৬ মাসে একটি সেমিস্টার ও চার বছরে মোট আট সেমিস্টার। শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের মুর্ট কোর্টে মামলা পরিচালনা শেখানো হয়। স্নাতক পাসের পর ছয় মাস তাদের আদালতে বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করতে হয়।

গবিতে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও পড়তে পারে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে খরচ অনেক কম (৩ লাখ ২০ হাজার টাকা)। রয়েছে ৩২ একরের স্থায়ী ক্যাম্পাস ও মানসম্মত পড়ালেখার সুযোগ।

বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষের বাইরেও শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং করা হয়। দুর্বলদের এগিয়ে আনার চেষ্টা করে এখানকার শিক্ষকরা। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আছে শিক্ষাবৃত্তি।’

আইন বিভাগের প্রভাষক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, ‘আইনপাঠ সবার জন্য জরুরি। আইনের প্রতি যাদের আগ্রহ আছে, যারা আইন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে ভালোবাসেন, তারাই আইন পড়লে ভালো করবেন। এ ছাড়া এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক একাডেমিক ভবনসহ ক্লাস রুম। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে নিজস্ব কম্পিউটার ল্যাব এবং সেমিনার রুম।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close