reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৬ মে, ২০২২

শিক্ষার্থীদের ঈদ আনন্দ

এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে মুসলিমরা উদ্‌যাপন করেছেন তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। করোনাকালীন ঈদ শেষে প্রায় দুই বছর পর মুসলমানরা ঈদ উৎসব পালন করেছেন। দীর্ঘ সিয়াম সাধনার পর স্বাভাবিকভাবেই এই উৎসবে সবার আগ্রহ বেশি। আর যেহেতু এই ঈদুল ফিতর আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব, ঈদ নিয়ে তাই তারুণ্যের উৎসাহ-উদ্দীপনাও বেশি। যার প্রভাব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আনন্দেও। নানা আয়োজন, কার্যক্রম ও ঘোরাঘুরির মধ্য দিয়ে কেটেছে দিনটি। শিক্ষার্থীদের আনন্দে কাটানো ঈদ উদ্‌যাপন তুলে ধরেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের প্রচার, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

ঈদটি ছিল আনন্দে ভরপুর

মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র উৎসব হচ্ছে ঈদুল ফিতর। সারা বছরের কর্মব্যস্ততার মাঝে একটু আনন্দের আমেজ সৃষ্টি করে এই পবিত্র ঈদ। সবাই তাদের পরিবারের সঙ্গে তৃপ্তির সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পায়। আমার ঈদটিও অনেক আনন্দের সঙ্গে কেটেছে। মায়ের হাতের মজার রান্না, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করাসহ সব মিলিয়ে দিনটি অনেক উপভোগ করেছি। এ ছাড়াও দিনটি ছিল আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে মিলনমেলা; যা মনকে বহু গুণ সতেজ করে দিয়েছিল। এই সময় এত উপভোগ্য ছিল যে, মনে হয়েছিল এই কর্মব্যস্ত মরুভূমির মতো জীবনে পানির পরশ নিয়ে এসেছে।

মাহফুজা হোসেন

শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

উৎফুল্লে কেটেছে ঈদ

মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় ও আনন্দপূর্ণ হচ্ছে ঈদের দিন। করোনা-পরবর্তী দুই বছর পর এবারের ঈদে চিরচেনা রূপ ফিরেছে। জাঁকজমক ঈদ উদ্‌যাপন, সেই আগের মতো উদ্দীপনাও। দীর্ঘ বিরতিতে তাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই কেটেছে এবারের ঈদ। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে সেমাই খাওয়া, লুডু খেলা, বিকালে একটু সাজুগুজু কর, সবার সঙ্গে সেলফি তোলা, সবার সঙ্গে ফোনালাপ, সন্ধ্যায় হালকা নাশতার আড্ডা, রাতে পরিবারের সঙ্গে টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখার মধ্য দিয়েই ঈদের দিনটি কেটে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে যথারীতি সবার সঙ্গে দিনভর ভিডিওকলে আলাপন, আড্ডা। এই তো এভাবেই কেটে গেল ঈদের সময়টুকু। আমাদের এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেই পরিবারের সঙ্গে আনন্দটা খুঁজে নিয়েছি। সব আতঙ্ক ও শঙ্কা পেছনে ফেলে রঙিন পৃথিবীতে প্রাণের মেলবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সব সময় উদ্‌যাপিত হোক সব ধর্মীয় উৎসব- এমনটাই কাম্য।

ইউছুব ওসমান

শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

ফের পেয়েছি ঈদের আমেজ

ঈদ আনন্দ বলতে শৈশব-কৈশোরে ফেলা আসা সেই স্মৃতিমাখা সময়টাকেই বুঝি। সময়ের পরিক্রমায় প্রতি বছর ঈদ এলেও ফিরে আসে না ফেলে আসা সোনালি শৈশবের ঈদ। আমাদের চেনা জীবনের সঙ্গে সঙ্গে উৎসব উদ্‌যাপনের ধরনও পাল্টে গেছে। তবে এবার করোনাকালীন ঈদ থেকে শিক্ষা নিয়ে ফের ঈদের আমেজ ফিরে এসেছে আমাদের মাঝে। ঈদের দিন ঘরের কাজ, বাড়ির সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি আর দূরে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ ও দূর থেকে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মতো নানা আনন্দঘন ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেটেছে। বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের দিন ঘোরাঘুরি আর আত্মীয়দের বাসায় দাওয়াত খাওয়া সবই হয়েছে এবারের ঈদে। এভাবেই খুশি নিয়ে ঈদ আসুক প্রতিটি বছর। সব বিভেদ ভুলে প্রতিটি ঈদে সবাই ভ্রাতৃত্বের একই বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক।

ইকরা ফুরকান ড্যাফোডিল

শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

সম্প্রীতি ও ভালোবাসার ঈদ

শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্কদের আকাশেও উঁকি দেয় শাওয়ালের বাঁকা চাঁদ। ঈদের আনন্দ কিছুটা উপভোগ করতে যে যার মতো করে নিয়েছে এবারের ঈদ প্রস্তুতি। আমার বেলায়ও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। করোনা পরবর্তী এবারের ঈদের পুরো সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাব বলে মনস্থির করেছি। ঈদের দিন স্বল্প পরিসরে স্কুলবন্ধুদের নিয়ে আড্ডা জমেছে বেশ। এর বাইরে এলাকার আরো বন্ধু-বড় ভাই, আত্মীয়-পরিজন তো রয়েছেন; তাদের সবার সঙ্গে ভার্চুয়ালভাবে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছি। ঈদের এই আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মজাই আলাদা। সব বিভেদ ভুলে এই ঈদে সবাই ভ্রাতৃত্বের এক নতুন বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। প্রতিটি ঈদ সবার জীবনে আনন্দ বয়ে আনুক- এমনটাই প্রত্যাশা।

মীম আফরোজ রাই

শিক্ষার্থী, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

ফিরে পেয়েছি অতীতের ঈদ আনন্দ

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জীবনে বছরে ঈদ আসে দুবার। এই ঈদে প্রতি মানুষের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবমুখর আনন্দ। কারণ দীর্ঘ দুবছর করোনা

মহামারিতে বিশ্বের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার ফলে সবাই বাঁধভাঙা উল্লাসে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছে। দীর্ঘদিন পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, কোলাকুলি ইত্যাদি ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে অনেকের কাছে মলিন হয়ে গেছে। কিন্তু বৃষ্টি শেষে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘুরতে খুব ভালো লেগেছে। ফিরে পেয়েছে সবাই অতীতের ঈদ আনন্দ। দীর্ঘদিন পর এমন ঈদ আনন্দ প্রত্যেকটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে।

মো. আবদুল্লাহ আল মামুন

শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

শান্তি সুখের ঈদ

দীর্ঘ একটি মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে সবাই এক কাতারে হয়েছি শামিল, সৌহার্দ আর প্রীতির বাঁধনে সবার কাঁধে কাঁধে হলো মিল। এই দিনে সব মুসলিম খুঁজে পেল আসল মায়ার বাঁধন, ধনী-গরিব সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই হয়েছে আপন। এই দিনে চোখের পানিতে ধুয়ে-মুছে গেছে সব গ্লানি, সব মুমিন মুসলমানের হৃদয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে জোর ইমানি। মুমিন মুসলমানের হৃদয়ে আজ ভালোবাসায় একাকার, আজও আবার জয় হয়েছে বিশ্বমানবতার। তাই আসুন আমরা সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে ঈদের পরবর্তী দিনগুলোকে উৎসবমুখর করে তুলি। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগিতেই হোক আনন্দ, সবার মাঝে গড়ে উঠুক শান্তি, সুখ ও সম্প্রীতি- এই প্রত্যাশা রইল।

ফাতেমা তুজ জোহরা ইমু

শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

খুশির জোয়ারে ঈদ

উৎসবমুখর পরিবেশ ঈদের আনন্দ আমাদের মনে নতুন আমেজের ঢেউ তুলে দেয়। করোনায় দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর এবারের ঈদ যেন খুশির বন্যা নিয়ে এসেছে। নতুন পোশাকে নিজেকে সাজানো, আনন্দণ্ডউৎসব সবকিছু মিলিয়ে যেন খুশির ঢেউ; যে ঢেউ আমাদের প্রাণে স্পন্দন জাগায়। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি এবং কুশল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দিনটি কেটে যায়। ছোট বাচ্চাদের হাতে মেহেদি লাগানো, বাবা-ভাইকে মিষ্টিমুখ করিয়ে ঈদের নামাজে পাঠানো, তারপর পরিবারের সবাই মিলেমিশে সুন্দর সুন্দর খাবার খাওয়া- এসবও আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতির বহিঃরূপ। এবারের ঈদ আনন্দ সম্পর্কের মধ্যে থাকা ব্যবধান অনেকাংশে কমিয়ে এনেছে। বাবা-মা, ভাই-বোনদের সঙ্গে অনেক আনন্দ করেছি। সবার মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে এবার আমি সত্যিই সফল। বছর ঘুরে এই ঈদ আমাদের মাঝে আনন্দ নিয়ে আসুক- এই প্রার্থনা করি।

শিউলী আক্তার

শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদ্‌যাপন

রোজা শেষে ঈদ যেন এসেছে বৃষ্টিমুখর হয়ে। ঈদের দিন সকালবেলাই ঘন কালো মেঘে চারদিকে আচ্ছন্ন হয়ে শুরু হয় বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝে মাঠের নামাজের প্রস্তুতি শুরু হলো। বৃষ্টির মাঝে দলবেঁধে ঈদগাহ মাঠের দিকে রওনা শুরু। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেই ঈদগাহ মাঠে সবার উপস্থিতি যেন এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি করে। ধনী-গরিব, ছোট-বড় সবার উদ্দেশ্য একই ঈদগাহে নামাজ আদায়। নামাজ শেষে কাকভেজা শরীরে কোলাকুলি। করোনা-পরবর্তী এ মাঠে নামাজ আদায় সবার জমায়েত এক অনন্য আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যেটি করোনার জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সকালে বৃষ্টি হলেও নামাজ শেষে রোদের আভাসে ঈদের পূর্ণতা ফিরে এলো। সবাই ঈদের আমেজে নতুন পোশাক পরিধান, ছোট ছেলেমেয়েদের দলবেঁধে ঘোরাঘুরি, ধনী-গরিব সবার পরিবারের ভালো খাবার রান্না- সব মিলিয়ে ঈদের প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দে কেটে গেল।

আবু সুফিয়ান সরকার শুভ

শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close