আশরাফুল ইসলাম সুমন

  ১৫ মে, ২০২২

শেকড়ে ফেরা

মানুষ মাত্রই স্মৃতিকাতর। ছোট্ট এই জীবনে কত স্মৃতি জমা থাকে মানুষের মনে। তবে স্মৃতির পাতায় যে অংশটি সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে থাকে, তা হলো স্কুল জীবনের রঙিন দিনগুলো। সোনায় মোড়ানো সেই দিনগুলো যে আজও নাড়া দেয়। খেলাধুলা, স্কুল পালানো, আড্ডা, গান-বাজনা, হইহুল্লোড়- এসব ছিল স্কুল জীবনের দিনগুলোর নিত্য অনুষঙ্গ।

২০১৬ সালে ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে স্কুল জীবন শেষ করে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইঞ্জনিয়ারিংয়ে অধ্যায়নরত। আবার অনেকে কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে। আবার কেউবা চাকরিপ্রত্যাশী। রমজান শুরুর পর আমাদের ব্যাচের ফেসবুক গ্রুপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রমজানে ইফতার ও পুনর্মিলনী করার। সবার সিদ্ধান্ত মতে ৩০ এপ্রিল (২৮ রমজান) তারিখ ঠিক করা হয়। সবার থেকে চাঁদা নিয়ে পুনর্মিলনীর টি-শার্ট বানানো হয়। এর মধ্যে চলে আসে কাক্সিক্ষত দিনটি। ৩০ এপ্রিল শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের মেইন গেটে আমাদের ইফতার ও পুনর্মিলনী ব্যানার লাগানো হয়। আগের দিন ইফতারের জন্য যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়। দুপুরের সবাই পুনর্মিলনী টি-শার্ট পরিধান করে স্কুলে আসতে শুরু করে। অনেক দিন পর যেন সবাই স্কুলের সেই দিনে ফিরিয়ে যাচ্ছিলাম। অনেক আড্ডা, গল্প-গুজব করলাম। এর মাঝে রান্নার কাজ শুরু হয়েছে। স্মৃতিগুলো ধরে রাখতে সবাই মিলে চলে ফটোসেশন, একসময় গল্পে গল্পে নিমিষেই শেষ হয়ে যায় রান্নার কাজ। আমরা ইফতারের জন্য বসে পরি ক্যাম্পাসের সবুজ ঘাসের ওপর, যেখানে আমাদের স্কুলজীবনের শত শত স্মৃতি পরে আছে অমলিন। একসময় ইফতার শেষ হয়, দিনের আলো নিভে অন্ধকার নামতে শুরু করে। বেজে ওঠে বিদায়ের ঘণ্টা। আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে থাকে প্রিয় ক্যাম্পাস চত্বর। সবাই ছুটে যায় যার যার নিজস্ব জীবনে। সবমিলিয়ে একটি আনন্দময় দিন কেটেছে প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে। যা আমাদের স্মৃতিতে বেঁচে থাকবে চিরদিন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close