ক্যাম্পাস ডেস্ক

  ২৫ জানুয়ারি, ২০২২

দেশের টেকসই উন্নয়নে পদার্থবিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য : চুয়েট ভিসি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বলেছেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পদার্থ বিজ্ঞানের গুরুত্ব সুস্পষ্ট। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বর্তমান যে অগ্রগতি ও টেকসই উন্নয়ন দৃশ্যমান, তাতে পদার্থবিজ্ঞানের অবদান অনস্বীকার্য।’

তিনি আরো বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞান হলো সবচেয়ে মৌলিক বৈজ্ঞানিক শাখাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে মহাবিশ্ব কীভাবে আচরণ করে, তা বোঝা। ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক জ্ঞান পদার্থ বিজ্ঞানই তৈরি করে। বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশের জন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চুয়েট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি প্রত্যাশা করছি দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী, পদার্থবিদ এবং প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ এবং তাদের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল, অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে সবার জ্ঞান ও তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে এই কনফারেন্স সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।’

গত রবিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফিজিক্স ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি-আইসিপিএসডিটি-২০২২’ শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিগত ৫০ বছরে দেশের পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণার সর্বশেষ অগ্রগতি নিয়ে এই কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম। কনফারেন্স স্পিকার ছিলেন বুয়েটের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কনফারেন্স চেয়ার ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল হোসেন।

এবারের কনফারেন্সের প্রতিপাদ্য হচ্ছে-বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষা ও গবেষণার সর্বশেষ অগ্রগতি। কনফারেন্সে পাঁচটি কি-নোট স্পিস, ৯টি ইনভাইটেড স্পিস, ৮টি টেকনিক্যাল সেশন এবং একটি পোস্টার সেশনে মোট ১০১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।

দ্বিতীয় দিনে কনফারেন্স প্রতিপাদ্যের ওপর ঢাবি, রাবি, চবি, জাবি, বুয়েট, সাস্ট, জবি, কুয়েট, বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের শিক্ষক-গবেষক ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি প্রেজেন্টেশন হয়। একইদিন দেশের প্রতিথযশা পদার্থবিদ অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশীদ, অধ্যাপক ড. মিহির কুমার রায়সহ কনফারেন্সের সব কি-নোট স্পিকার, ইনভাইটেড স্পিকার, সেশন চেয়ার, কো-চেয়ার ও অংশগ্রহণকারীর সমন্বয়ে একটি প্যানেল ডিসকাশনও হয়।

কনফারেন্সে কি-নোট স্পিকার ছিলেন কানাডার আলবার্টা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ওয়েইন কে হাইবার্ট, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাসিত এবং বিএএস ফেলো অধ্যাপক ড. এ কে এম আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া সমাপনী দিনের কি-নোট স্পিকার ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী ও বিসিএসআইআরের ড. আবদুল গফুর।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close