ইমন ইসলাম

  ২২ নভেম্বর, ২০২১

হাতি রক্ষায় জাবিতে ‘পাপেট শো’

দেশে ক্রমবর্ধমান হাতি হত্যার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের মানববন্ধন ও সচেতনতামূলক পাপেট শো হয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শোয়ের আয়োজন করে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার। এ সময় হাতির করিডোর দখলমুক্ত কর, নির্বিচারে হাতি হত্যা আর নয়, হাতির নিরাপদ বাসস্থান চাই, ভালো থাকুক মানুষ, ভালো থাকুক প্রকৃতির সন্তানেরা, নামে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্যরা। যেভাবে হাতি হত্যা করা হচ্ছে একসময় হয়তো এই প্রাণীটি আর কোথাও দেখতে পাওয়া যাবে না। আগামী প্রজন্মকে হয়তো এই পাপেট শোয়ের মাধ্যমেই হাতির জীবনী দেখতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, আমি আমার সন্তানকে নিয়ে এসেছি এই পাপেট শো দেখাতে। আমাদের দেশে আগের মতো আর হাতি দেখতে পাওয়া যায় না। বন উজাড় হচ্ছে, মানুষ বনে বসবাস শুরু করেছে। এতে করে হাতিরা শঙ্কায় পড়েছে। আমি আমার সন্তানকে হাতির জীবনের দুঃখ-কষ্ট বোঝাতে এখানে নিয়ে এসেছি। দেখতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, পাপেট শোয়ের মাধ্যমে হাতির দুঃখ ও কষ্টের কথা জানতে পেরেছি। তাদেরও যে বেঁচে থাকার অধিকার আছে, নিরাপদ বাসস্থানের প্রয়োজন আছে, তা এই পাপেট শোয়ের মাধ্যমে সবাই বুঝতে পারবে। হাতিরা তো প্রকৃতির অংশ। তারা মানুষের ক্ষতি করে না। তবুও কিছু মানুষ অন্যায়ভাবে হাতি হত্যা করছে। আশা করি দেশের প্রতিটি মানুষ হাতি রক্ষায় এগিয়ে আসবে এবং তাদের স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করবে। ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, হাতি রক্ষা করতে ও হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সচেতনতা সৃষ্টি করতেই পাপেট শোয়ের আয়োজন করেছি আমরা। হাতি হলো প্রকৃতির প্রাণ। অথচ সেই প্রাণকে হত্যা করা হচ্ছে নির্বিচারে। দেশে অসংখ্য হাতি হত্যার শিকার হয়েছে। মাহফুজুর রহমান আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে হাতি শূন্যের পথে। ২৫০-এর কিছু বেশি হাতি রয়েছে। যেভাবে প্রতিনিয়ত হাতি হত্যা করা হচ্ছে, তাতে খুব শিগগিরই সেই সংখ্যাটাও কমে যাবে। বনবিভাগের উচিত হাতি রক্ষায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করার পাশাপাশি নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা। মানবসমাজ যেন হাতির আবাসে চলে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। বনের মধ্যে যেন মানুষ সবজি বা কৃষি কাজ না করে, সেদিকে বনবিভাগের নজর দেওয়া জরুরি, বলেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close