মোহাম্মদ অংকন
শিশুদের ‘নোবেল’ পাচ্ছে শেখ রিফাদ মাহমুদ
শিশুদের নোবেলখ্যাত ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার-২০২১’ এর জন্য মনোনীত হয়েছে নাটোরের শেখ রিফাদ মাহমুদ। অনুষ্ঠানের আয়োজক নেদারল্যাডসের ‘কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন’ রিফাদকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে।
শেখ রিফাদ মাহমুদ সম্পর্কে কিডস রাইটসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “রিফাদ একজন ‘তরুণ চেঞ্জমেকার’ ও ‘সমাজ-সংস্কারক’। তিনি শিশুশ্রম বন্ধ এবং সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দেন, তাদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা-উপকরণ এবং নতুন জামা-কাপড় বিতরণ করেন। তিনি স্বাস্থ্যসহ শিশুদের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতাও বাড়ান।”
রিফাদের বাবা অধ্যক্ষ শেখ মো. রকিবুল ইসলাম ছেলের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারে মনোনয়নের খবরে বেশ আনন্দিত। তিনি জানান, “রিফাদ ছোট থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। সে শিশুদের শিক্ষা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। করোনার শুরুতে নাটোর জেলাজুড়ে করোনা-সচেতন বার্তা ও লিফলেট পৌঁছে দিয়েছে। লকডাউনের সময় কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তাও পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি সে সময় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষা-উপকরণ বিতরণ করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দুর্যোগ ও উৎসবে খাদ্য সহায়তা করে থাকে।”
২০০৫ সালে রোমে অনুষ্ঠিত নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক শীর্ষ সম্মেলন থেকে এই পুরস্কার চালু করে ‘কিডস-রাইটস’ ফাউন্ডেশন। শিশুদের অধিকার, উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় অসাধারণ অবদানের জন্য প্রতি বছর আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিরা ওই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। গত বছর সুইডেনের শিশু-পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও ক্যামেরুনের ডিভিনা মালম যৌথভাবে মর্যাদাপূর্ণ ওই পুরস্কার পান। ২০১৩ সালে এই পুরস্কার বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই পরের বছর জয় করেছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। এ ছাড়া ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে সাদাত রহমান এই পুরস্কার অর্জন করেন। পুরস্কারটির মোট অর্থমূল্য এক লাখ ইউরো। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক শিশুদের পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আগামী ১৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা রয়েছে। রিফাদসহ অন্যান্য আরো যারা মনোনীত হয়েছেন, তাদের অপেক্ষা করতে হবে কিছু দিন। কে হচ্ছেন চলতি বছরের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী, তা জানা যাবে এ মাসের শেষ দিকে।
"