reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ আগস্ট, ২০২১

তারুণ্যে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টির সঙ্গে অবিভাজ্যভাবে জড়িয়ে আছে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতার নামটি। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জয় লাভ করে এ দেশের সোনার সন্তানরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নকে সত্যি করেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। তবে শেষ হয়ে যায়নি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রাজনীতিতে সক্রিয় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর ভাবনা ও মতামত তুলে ধরেছেন মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে

‘বঙ্গবন্ধু’ যে নামটির সঙ্গে মিশে আছে অবর্ণনীয় ত্যাগ, সাধনা, সংগ্রাম, আর কষ্টক্লেশে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। যে মানুষটি শিল্পীর মতো নিজের স্বপ্নের ক্যানভাসে ফুটিয়ে ছিলেন একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা। সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার আগেই প্রেতাত্মারা বাংলার বুক চেপে ধরেছিল এই আগস্টেই, মুছে দিতে চেয়েছিল এই বাংলার মানচিত্র। কিন্তু ওরা জানে না বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। যিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার। তাছাড়াও নিপীড়িত গরিব, দুঃখী এবং মেহনতী বাংলার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন হ্যামিলিওনের বাঁশিওয়ালা। তার জীবনের প্রতিটি অধ্যায় থেকে আমাদের শেখার আছে অনেক। তিনিই আমদের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন, রাজনৈতিক ঘাত-প্রতিঘাত, বাঙালির সংগ্রাম-সংঘাত, ইতিহাসের নানা বাঁকবদল প্রভৃতি বিষয়ের অবদানে হয়ে উঠেছেন একজন আদর্শ বাঙালি ও মহান নেতা। যে তারুণ্য নিয়ে আমাদের আশার অন্ত নেই, সেই তারুণ্যে মিশে আছে ‘মুজিব’ নামটি। তরুণ হৃদয়ে ভালোবাসার প্রথম অনুষঙ্গ হোক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সততা, দেশপ্রেম, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সাহসী পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে আমাদের তরুণরা খুঁজে নেক আগামীর বাংলাদেশকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চিন্তাচেতনা ছড়িয়ে পড়ুক এই বাংলায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।

জায়ান রায়হান

শিক্ষার্থী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ

তারুণ্যের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একে অপরের পরিপূরক। তরুণ সমাজের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান এক অনুপ্রেরণার নাম। তিনি এই তরুণ সমাজের কাছে একাধারে জীবন সংগ্রামের, অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ও আদর্শের প্রতীক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কারিগর, উদার ব্যক্তিত্ব এবং একজন সফল রাজনীতিবিদ। বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠেই মানুষের মনে স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলনের সময় থেকেই তিনি তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি প্রায় বক্তব্যেই বলতেন, একটি দেশের সমস্যা এবং সম্ভাবনা দুটিই তরুণ সমাজের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। ছাত্রজীবন থেকে দেশ ও জাতির স্বার্থে সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার তিনি কারাভোগ করেছেন। তার পরও বঙ্গবন্ধুকে কেউ থামিয়ে রাখতে পারেননি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশের জন্য লড়াই করেছেন। তরুণরাই পারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালিত করে এই বাংলাকে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা’ গড়তে।

ফারিহা আলম লাবণ্য

শিক্ষার্থী, ইংরেজি ভাষা বিভাগ

আগস্টের শোক হোক বাঙালির শক্তি

‘যত দিন রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান, তত দিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’ ১৯৭৫ সালের এই দিনে এক দল বিপৎগামী সেনা কর্মকর্তা জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। যুদ্ধ চলাকালীন তাকে পাকিস্তান কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়, কিন্তু তখন হত্যা করতে পারেনি। স্বাধীন বাংলার মাটিতে ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পিতভাবে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে বাংলাদেশের নাম পৃথিবীর থেকে মুছে ফেলা। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বদলা নিয়ে তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের প্রত্যেককে এই সোনার বাংলা তৈরি করতে কাজ করতে হবে। মুজিব আদর্শের সৈনিকদের নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে। এই শোক কে আমরা শক্তিতে রূপান্তরিত করে সব অপশক্তি দূর করে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

মৈত্রী বাড়ৈ

শিক্ষার্থী, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ

বাংলার বুকে অটুট থাকুক বঙ্গবন্ধুর নিঃশ্বাস

শত্রুমুক্ত স্বাধীন দেশে জাতির পিতার শত্রু হয়ে উঠল নিজ ভূমির কিছু কুলাঙ্গার সন্তান। বাঙালির সোনালি ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা যেন এক কলঙ্কিত অধ্যায়। বাঙালি জাতির এ ক্ষতি কখনো পূরণ সম্ভব নয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে মাত্র কয়েক বছরে যে অবস্থানে নিয়ে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু তা ছিল স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রথম ধাপ। ঘাতকদের ভয়াল থাবায় অপূরণীয় রয়ে গেল জাতির পিতার অনেক স্বপ্ল। স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, অন্যায়ের সঙ্গে আপসহীন মনোভাব, বৈষম্যমুক্ত একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্নের ফসল হচ্ছে আমাদের আজকের বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল একটি শোষণহীন, সাম্য, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার, যে রাষ্ট্রের কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না, বেকারত্বের সমস্যা থাকবে না। তার এ স্বপ্ন পূর্ণতা পাক অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে, বেকারত্বের সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমে এবং সাম্য, মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন দেশ গঠনের মাধ্যমে, তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীনতা সার্থক হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার কয়েক যুগ পরও কোটি হৃদয়ে বিরাজমান জাতির পিতার আদর্শ। তার আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তৈরি হবে এক স্বপ্নের বাংলাদেশ এমনটাই কাম্য।

মো. নাইমুর রহমান ভূঁইয়া

শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ

তরুণ মনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিফলিত হোক

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইতিহাসে যার নামটি উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো দীপ্যমান, তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আদর্শ ও চিন্তাভাবনা তরুণ প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস। তার দূরদর্শী, বিচক্ষণ ও সঠিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু নিঃসন্দেহে একজন সেরা দেশপ্রেমিক। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন থেকে তরুণ প্রজন্ম অসীম সাহসিকতায় পথ পাড়ি দিতে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে, মানবতার সেবা করতে, মাথা নত না করে ন্যায়ের পথে চলতে আর আত্মবিশ্বাসী ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে শিখে। বঙ্গবন্ধুর পথচলা তরুণদের অসাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতিমুক্ত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়তে তুলতে উৎসাহিত করে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে হোক দেশপ্রেমের শিক্ষা। তরুণ প্রজন্মকেই শপথ নিতে হবে এই মহান নেতার নীতি ও আদর্শ ধারণ করে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার। তরুণ প্রজন্মের প্রতি বঙ্গবন্ধুর চোখ ছিল সবসময় কোমল। কারণ তিনি জানতেন তরুণরাই তাদের সৃষ্টিশীল মেধা ও প্রচেষ্টাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম। এজন্য স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আজও তারুণ্যের কাছে বঙ্গবন্ধু মানে শুধু একটি নাম নয়, বঙ্গবন্ধু মানে এক আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া, গৌরবের উষ্ণতা, ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বিশ্বাস মনের মধ্যে আঁকড়ে ধরে রাখলে তরুণ প্রজন্ম কখনোই বিপথে যাবে না এমনটাই প্রত্যাশা। স্বাধীন বাংলায় তরুণ সমাজের কাছে অমলিন থাকুক বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব।

রওনাকুর সালেহীন

শিক্ষার্থী, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ

স্বাধীনতা, আদর্শ ও চেতনায় বঙ্গবন্ধু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন দূরদর্শী এবং ক্যারিশম্যাটিক নেতা যিনি আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আখ্যায়িত। তার দূরদর্শিতায় একটি পরাধীন জাতি বহু বছরের শোষণ, দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ পায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড শুধু একটি হত্যাকান্ডই নয়, বাঙালি জাতিকে আবারও পরাধীন ও অভিভাবকশূন্য করার ষড়যন্ত্র। এ গণহত্যায় বাঙালির জীবনে শোকের ছায়া নেমে আসে। দুঃখে কাতর বাঙালি হয়ে যায় বাকরুদ্ধ ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রায় অর্ধশতাব্দী পরও তরুণ প্রজন্ম সেই শোকের গাম্ভীর্য ধরে রেখে জাতীয় শোক দিবস পালন করছে। কিন্তু অতীতের সঙ্গে বর্তমানের কিছুটা ভিন্নতা লক্ষণীয়। জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য তখনই ফলপ্রসূ হবে; যখন রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তরুল সমাজের সদ্ব্যবহার করবে। বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করাই শোক দিবসের মূল লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শ, চিন্তাধারা সম্পর্কে সবাইকে সঠিক ধারণা দিতে হবে এবং সেই চেতনাকেই শক্তি হিসেবে ধারণ করে বাঙালি জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে তরুণদের উচিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য উদার রাজনৈতিক, শোষণহীন ও সাম্যবাদী সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশকে আগামীর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

উম্মে হাবিবা

শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close