reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ জুন, ২০২১

শিক্ষার্থীরাই দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন

করোনা মহামারির কারণে ছাত্রছাত্রীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যাওয়ার পথ সহজ করতে অনলাইনে চতুর্থ সমাবর্তন সম্পন্ন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। গত শনিবার আয়োজিত এই সমাবর্তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সভাপতিত্ব করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ^বিদ্যালয়ের জনংযোগ বিভাগ।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য দেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান। সমাবর্তনে মোট ১ হাজার ৪৬৪ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ছয়জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল এবং ১৩ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।

সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যেই আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে সফলতার প্রমাণ রেখেছে; যা সবসময় আমাদের অনুপ্রাণিত করে আসছে ।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আমরা দক্ষ মানবশক্তি তৈরিতে বিশ্বাসী এবং এজন্য উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই। বর্তমান সরকারও শিক্ষার এই গুরুত্ব উপলব্ধি করে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ লক্ষ্যের ওপর জোর দিয়ে আসছে। সরকার বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে। ভবিষ্যতে সব জেলায় বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।” দীপু মনি বলেন, ‘অনেক সন্দেহ ও সংশয় নিয়ে বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই সংশয় মিথ্যা প্রমাণিত করে নিজেদের প্রমাণ দিয়েছে। আগামীতে তারাও বিশ^ র‌্যাংকিংয়ে স্থান পাবে সেই বিশ্বাস আমাদের আছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু অর্থের পেছনে ছুটলে চলবে না। কারণ, অর্থের চেয়ে মেধা ও সময়ের মূল্য অনেক বেশি। নেতিবাচকতা নয়, সব সময় ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করতে হবে। অর্থের প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় পরিণত না করে। এ সময় তিনি করোনাকালীন গ্রিন ইউনিভার্সিটির অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের অগ্রগতি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে উত্তরোত্তর এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, সমাবর্তনের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী বৃহত্তর কর্মজীবনে প্রবেশ করে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতাও বাড়ে এই সমাবর্তন থেকে। সুতরাং গ্রিন ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক গ্র্যাজুয়েটকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গ্রিন ইউনিভার্সিটি এমন একসময়ে সমাবর্তন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি দিচ্ছে, যখন বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্পণ করেছি। শুধু তাই নয়, একই বছরে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উৎসব করছি।’

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফয়জুর রহমান। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যগণ, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্যগণ, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, আমন্ত্রিত অতিথি, অভিভাবক ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close