reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২০ জুন, ২০২১

সন্তানের চোখে বাবা

প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বছরের এই একটি দিনকে প্রিয় সন্তানরা আলাদা করে বেছে নিয়েছেন। বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশে এই দিনটি পালিত হয় সব বয়সের বাবাদের মনে রেখে। ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায়, আবেগে। বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে পিতৃ দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। সেই হিসেবে আজ বিশ্ব বাবা দিবস। কী ভাবছেন বাবাকে নিয়ে সন্তানরা? দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে জানতে চেষ্টা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন

‘নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাসের নাম বাবা’: ‘বাবা’ শব্দটা যেন এক বিশাল পৃথিবীর সমান। একজন বাবা তার সন্তানদের শুধু ভালোবাসা নয়, তার শেষ সম্বলটুকু উজাড় করে দিতেও দুবার চিন্তা করেন না। কারণ সন্তানই তার কাছে অমূল্য ধন। আমার বাবা আমার কাছে বটগাছ। এ অনুভূতিটাই আমাকে একটা নিরাপত্তা আর নির্ভরতার বোধ দেয়। দেয় আত্মবিশ্বাস। সব সময় নীরব থেকে পরিবারকে সামলে রাখা মানুষটি হচ্ছে বাবা। সারা দিন কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জন করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর নাম বাবা। বাবারা সব সময় অগোচরেই থাকে। জীবন নামক গল্পের পর্দার বাইরের চরিত্র বাবা। প্রতিবার ঈদ বা যেকোনো উৎসবে পরিবারের সবার জন্য নতুন জামা নিলেও নিজের জন্য না নেওয়া মানুষটি হচ্ছে বাবা। আমার কাছে আমার বাবা হচ্ছে আমার আদর্শ, আমার অনুপ্রেরণা, আমার সামনে এগিয়ে চলার পাথেয়। আমাদের সবার জীবনেই বাবার গুরুত্বটি অপরিসীম। কিন্তু দিনশেষে আমরা আমাদের বাবার প্রতি সঠিক দায়িত্বটি পালন করছি তো? নিজে যখন আত্মনির্ভরশীল হই তখন আমরা বাবাকে ভুলে যাই। একটা সময় হয়তো ঠিকমতো কথাও বলা হয় না, বাবা ডাকটাও আর সন্তানের মুখ থেকে বের হয় না। সালাম দেওয়াটা তখন আর মন থেকে সম্মানের সহিত হয় না। সেই ছোটবেলা সাইকেল চালাতে গিয়ে বাবা আমার সাইকেলের হ্যান্ডেলটি ধরে সারা মাঠ ঘুরিয়ে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিল। যাতে আমি ভুল চালানো না শিখি বা মাটিতে পরে আঘাত না পাই। জীবনের এ পর্যায়ে এসে এখনো আমার জীবনের হ্যান্ডেলটি তিনি ধরে রেখেছেন যাতে কখনো ভুল পথে পরিচালিত না হই। এটা খবরদারির বিষয় না। এটা এক অন্যরকম অনুভূতি, এটা এক অন্যরকম ভরসা। জীবনের প্রতিটা দিনই আসলে বাবা-মা দিবস। তবুও এই বাবা দিবসে পৃথিবীর সব বাবার প্রতি রইল অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ভালো থাকুক পৃথিবীর সব বাবা ও ভবিষ্যৎ বাবারা।

মো. তাসনিম হাসান আবির

শিক্ষার্থী, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

‘বৃদ্ধাশ্রম সংস্কৃতির লাগাম টানতে হবে’ : বাবা-পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট শ্রুতিমধুর একটি শব্দ। নিঃস্বার্থভাবে প্রতিটি মানুষের উন্নতি কামনা করা রক্ত সম্পর্কিত ব্যক্তিই বাবা। সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসার অনন্য নজির স্থাপন করে গেছেন মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা আকবরসহ অনেকেই। সন্তানের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতাগুলো সম্পর্কে মায়ের তুলনায় বাবাই সবচেয়ে বেশি অবগত থাকেন। তাই পরিণত বয়সে বাবার ভূমিকাই আমাদের জীবনে বেশি পরিলক্ষিত হয়। আমরা যখন বাবা হই, তখন বাবা হয়ে যান শিশু। কেননা বৃদ্ধ হলে মানুষের ইন্দ্রিয়গত শক্তি লোপ পায়। ফলে তারা অনেকটা শিশুর মতোই আচরণ করেন। সারা জীবন সংসারের হাল টেনে বৃদ্ধ হওয়া বাবার যখন চাকরির বয়স ফুরিয়ে যায়, আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়, তখন তিনি নিজেকে খুবই ছোট মনে করেন সন্তানের সামনে। আশা করেন একটু আদর-যত্ন। কিন্তু আধুনিক সমাজে এই সংগ্রামী বাবাদের বৃদ্ধাশ্রমে দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা খুবই লজ্জাজনক এবং সর্বাধিক কৃতঘ্নতা। আমরা যখন অক্ষম ছিলাম তখন যারা কোলে-পিঠে স্থান দিয়েছেন আমাদের, তারা অক্ষম হলে আজ আমরা ছুড়ে ফেলছি তাদের। বৃদ্ধাশ্রম সংস্কৃতি সমাজ থেকে এখনই দূর করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে তা আমাদের প্রতি বুমেরাং হয়ে আসবে বৈকি। প্রতিটি ধর্মেও পিতামাতার যত্নের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, এর ব্যতিরেকে শাস্তির বিধানও আছে। ফলে বাবার অসন্তুষ্টি নিয়ে ইহকালীন শান্তি এবং পরকালীন মুক্তি আসবে না কখনো। তাই এ ধরনের যাবতীয় সামাজিক অবক্ষয় হ্রাস করে বিবেকবোধকে জাগ্রত করাই হোক বাবা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য।

আরমান শেখ

শিক্ষার্থী; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

‘নিদাঘ সূর্যের তলে সন্তানের শীতল ছায়া’: বাবা দুটি শব্দের ছোট বাক্য হলেও এর মধ্যে নিহিত রয়েছে আবেগ, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা মমত্ববোধ। সন্তানদের কাছে বাবাই হয়ে উঠে পৃথিবীর রাজা। আর এই রাজার রাজ্যে সন্তানরাই হয়ে উঠে এক একজন সিপাহী। সন্তানের ভালো-মন্দ লাঘবে যিনি সর্বদা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান তিনিই তো বাবা। তাই বাবার প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘পৃথিবীতে অনেক খারাপ মানুষ আছে, তবে একটাও খারাপ বাবা নেই।’ ঠিক তেমনি আমার কাছে আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। যাকে ছোটবেলা দেখে আসছি কোনো কিছু বলার আগেই সেই জিনিসটি আমার সামনে হাজির হয়ে যেত। এক্ষেত্রে বাবা আমার জাদুকরের ভূমিকা পালন করত। এক দিন তো রোড এক্সিডেন্টে আহত হয়ে পড়েছিলাম শহরের এক গলিতে। সেদিন ফেরেশতার মতো উদ্ধার করে সুস্থ করে আবারও পৃথিবীর আলো দেখতে সাহায্য করেছিল বাবাই। হয়তো কোনো কোনো সময় সন্তানদের ভালোর জন্য ভিলেনের চরিত্রেও পাওয়া যায় বাবাকে। আবার, পকেট যখন ফাঁকা থাকে তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব পালন করতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রিয় এই মানুষটি। ভালো থেকো বাবা। হয়তো মুখে বলতে পারি না, সত্যি অনেক বেশি ভালোবাসি বাবা। এভাবে সারা জীবন বটবৃক্ষের ছায়ার মতো আগলে রেখো।

মীর মোহাম্মদ আদনান সাকিব

শিক্ষার্থী; ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

‘জীবন সংগ্রামের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বাবা’ : আমার দেখা পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা সংগ্রামী, নির্ভীক, আদর্শবান ও অনুকরণীয় ব্যক্তিটি হলেন বাবা। বাবা হলো একটি বিশাল সুদৃঢ় বটবৃক্ষ। যে নিজে গ্রীষ্মের প্রখর রোদে পুড়ে সন্তানকে শীতল ছায়া দিয়ে যায় এবং নিজে কালবৈশাখীর শিলা বৃষ্টিতে ভিজেও সন্তানের মাথার ওপর ছাতা হয়ে থাকে। জন্মের পরে যার আঙুল ধরে প্রথম হাটতে শিখেছি, যেই মানুষটার ছায়াতলে পৃথিবীর সব ভয়েরা পরাজিত হয়, যার আত্মত্যাগের বিবরণ লিখতে গেলে কলমের কালি ফুরিয়ে যাবে তবু লেখা শেষ হবে না- সেই অনুভূতিটার নাম বাবা। জন্মের পর বাবার হাত ধরে পথচলা শুরু হয়, শৈশবে তিনি খেলার সাথী ও সর্বোত্তম বন্ধু, কৈশোরে আবদার পূরণের মহাসমুদ্র, যৌবনে সাহসের জোগানদার ও ভরসার অপর নাম বাবা। বছরের পর বছর মলিন জামা-জুতা পরে, অনাহারে, অর্ধাহারে থেকেও যেই মানুষটি সন্তানের কোনো শখ, আহ্লাদ অপূর্ণ রাখেন না। সন্তানের অসুখ কিংবা বিপদে যেই মানুষটা নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাতের পর রাত চোখের কোণে পানি নিয়ে প্রার্থনায় মশগুল থাকেন। পৃথিবীতে বাবা হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া একটা বড় নিয়ামত।

যার বাবা নেই সে বুঝে বাস্তবতা কতটা কঠিন ও দুর্বিষহ, অসহায়ত্ব কতটা মারাত্মক ও কষ্টদায়ক, রোদে পুড়া, বৃষ্টিতে ভেজার যন্ত্রণা কত, একটা ভরসার অভাব কীভাবে জীবনের রংগুলো সব কেড়ে নেয়। বাবা দিবসে পৃথিবীর প্রতিটি সন্তানের কাছে আহ্বান, বাবা নামক অমূল্য রত্নটিকে হারানোর আগেই যত্ন নিন, সম্মান করুন, ভালোবাসুন।

নাঈমা আক্তার রিতা

শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

‘বাবাই জীবনের সেরা শিক্ষক ও পথপ্রদর্শক’: বাবা পৃথিবীর সবচেয়ে ওজনদার শব্দের একটি। এই শব্দটির শক্তি সম্পর্কে বোধগম্যতা আসে তখনই যখন ‘বাবা’ নামক ছায়াটা জীবন থেকে গত হয়। বাবা যেদিন বাবা হলেন সেদিন থেকেই তার দায়িত্বশীলতায় বিন্দুমাত্র ঘাটতি রাখার সুযোগ ছিল না। একজন আদর্শ বাবা হওয়াটাই যেন ছিল তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। যেদিন প্রথম আমার মুখ থেকে বাবা ডাকটি শুনলেন তার দায়িত্ব যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল, সেদিন থেকে নিজের জন্য বাবার চাহিদাগুলো ক্রমহ্রাসমান। যেদিন থেকে বাবার কাছে আবদার করতে শিখলাম, অক্লান্ত পরিশ্রমে বাবার ঘাম ঝরানোর মাত্রা আরো বেড়ে গেল। সন্তানের সব চাহিদা পূরণে সদা আন্তরিক বাবারা কখনোই চাহিবামাত্র না শব্দটি উচ্চারণ করতে পারেন না। পরিবারের প্রধান কর্তা এই মানুষটার প্রতিদিনের কার্যতালিকায় থাকে আমাদের সবার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা আরো কত কী! কখনো সরাসরি কখনো বা মায়ের মাধ্যমে প্রতিদিন কত না আবদার পৌঁছে বাবার কাছে তার কোনোটাই কোনো বাবা সরাসরি নাকোচ করতে পারেন না। শৈশব থেকে বিয়ে পর্যন্ত আমাদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় আমার বাবার নিপুণ হাতে গড়া। বাবা তার আদর্শ দিয়ে, শ্রম দিয়ে তার চেয়েও প্রতিষ্ঠিত দেখতে চান তার প্রিয় সন্তানকে। প্রতিটি বাবারই প্রত্যাশা থাকে সন্তান প্রতিষ্ঠিত হবে, হবে তার মতো দায়িত্বশীল। সন্তানের মুখে হাসি দেখার জন্য যেই বাবা ষাটোর্ধ্ব বয়স পর্যন্ত অক্লান্ত পরিশ্রমে ত্যাগ করেছেন জীবনের কতনা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য, আরাম-আয়েশ। এজন্যই বাবারা তার সন্তানের কাছে সুপারম্যান, সুপার হিরো। আমার সুপারম্যান যেন আমার থেকে কখনো কষ্ট না পান, আমি যেন তার চাওয়াগুলো অনুভব করতে পারি। যত দিন আমার সুপারম্যান পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকবে, সেই হবে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। ভালোবাসা রইল সব সন্তানের জীবন গড়ার নিত্য কারিগর বাবাদের প্রতি।

আসাদুজ্জামান ইদ্রিস

শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

‘বাবা তুমি নাড়ি ছেঁড়া ধন’ : বাবা শব্দটি মনে হলেই প্রতিটি সন্তানের চোখে ভেসে ওঠে পরম ভরসা ও আত্মবিশ্বাসের ছবি। বড় মমতা, আদরের প্রিয় এক মুখ। বাবা দিবসে সেই প্রেমাবেগ আরো যায় বেড়ে। মূলত বাবা হলেন সেই বটবৃক্ষ, যার ছায়াতলে সন্তান সবচেয়ে নিরাপদ থাকে। বাবা শব্দটি দায়িত্ব ও ভালোবাসায় ঘেরা। বাবা হলেন শ্রদ্ধা, ভয়, উৎসাহ, নির্দেশনা ও নির্ভরতার চূড়ান্ত ঠিকানা। যার হাত ধরে সন্তানরা পৃথিবীর সব দুর্গম পথ হেঁটে পৌঁছে বাবার স্বপ্নসুখে। তাইতো বাবাদের জীবনে ঘটে লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, দুর্ব্যবহার, অসৎ আচরণও। সন্তানের সুখের সওদাগর বনে যান। ডাক হরকরার মতো বাবারা ছোটাছুটি করেন নিরন্তর। সন্তানের জীবনে যেন কষ্ট-ক্লেশের কোনো স্পর্শ না লাগে এজন্য বাবা হন অতন্দ্র প্রহরী। আমার বাবার বেলাও তাই। শৈশবে করুণ অসুস্থতার সময়ে জীবনের মায়া ছেড়ে বিশাল গাছ বেয়েছেন সন্তানকে বাঁচানোর তাগিদে। সামান্য ভুলে দিতে হয়েছে শানিত পাতের খেসারত। আবার পরিবার, সন্তানের শত ভুলের পরও দিন শেষে মুচকি হেসে সন্তানদের বুকে জড়িয়ে ধরতে শুধু বাবারাই পারেন। এভাবেই আপন ছেলেকে ঘিরেই বাবার স্বপ্নের পৃথিবী, কল্পনার পাতায় পাতায় এঁকে রেখেছে শত শত সুখের আলপনা। বাবাদের এই অপ্রাপ্তি ভালোবাসার জয় হোক। বাবার জন্য মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা- রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বাইয়ানি সগিরা।

মুহাম্মদ মিযানুর রহমান

শিক্ষার্থী; জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ

ঢাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close