ক্যাম্পাস ডেস্ক

  ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বৃত্তিতে চীনে স্নাতক প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ

উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি গ্রহণ করতে প্রতি বছরই আমাদের দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা ও কম খরচের দেশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের এখন চীনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। প্রতি বছরই আমাদের দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য চীন যাচ্ছেন।

বর্তমান সময়ে চীন পৃথিবীর দ্রুত অগ্রসরমান দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। চীনারা মনে করে তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই; যে কারণে তারা শিক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করছে। চীনে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমান বৈশ্বিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি এবং বিশেষত শিল্পায়নের সবগুলো ক্ষেত্রকে বিবেচনায় এনে কোর্স প্রণয়ন করা হয়। এ ছাড়া চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সম্পূর্ণ বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমঝোতা ও সহযোগিতার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির আদানপ্রদানের লক্ষ্যে প্রতি বছরই বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।

সে ধারা অব্যাহত রাখতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বৃত্তি দিচ্ছে চীনের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা ও পূর্বতন সব পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করা হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আবাসিক সুবিধা দেওয়া হবে এবং মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। চীনের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। বৃত্তিসহ স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য শিক্ষার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে সর্বনিম্ন জিপিএ ২.৫ থাকতে হবে।

কেন চীনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন : চীনে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে সম্পূর্ণ বৃত্তিতে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। চীনের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় বাংলাদেশের যেকোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় পড়াশোনার খরচ অনেক কম। বিশ্বের নামকরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রথম সারির দিকে অবস্থান করছে চীনের এ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ। চীনে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সুযোগ রয়েছে (বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতিসাপেক্ষ)। চীনের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই আইইএলটিসের প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া চীনের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ইংরেজী মাধ্যমে পরিচালিত হয়। চীনে অধ্যয়নকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাভুক্ত ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুযোগ রয়েছে।

আবেদনের সময় বেশকিছু প্রয়োজনীয় কাগজের অনুলিপি জমা দিতে হবে বৃত্তিপ্রত্যাশী প্রার্থীদের। আবেদনপত্রের সঙ্গে যা থাকবে :

১. নোটারিকৃত সর্বোচ্চ ডিগ্রির সনদ : আবেদনকারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ডিগ্রির নোটারিকৃত সনদের অনুলিপি আবেদন ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

২. পরীক্ষার নম্বরপত্র : সব পরীক্ষার নম্বরপত্রের নোটারিকৃত অনুলিপি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

৩। দেড় বছরের মেয়াদসহ পাসপোর্টের অনুলিপি এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

৪. স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ : যারা চীনে পড়াশোনায় ইচ্ছুক, তাদের স্বীকৃত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ নিতে হবে।

৫. মোটিভেশন লেটার : ইংরেজি বা চীনা ভাষায় লিখিত শিক্ষা পরিকল্পনা আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। এটা স্নাতকদের জন্য ন্যূনতম ১০০ শব্দ এবং স্নাতকোত্তর প্রার্থীদের জন্য ২৫০ শব্দ হতে হবে।

৬. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স : যেসব শিক্ষার্থী চীনে পড়াশোনার জন্য আবেদন করবে তাদের আবেদন পত্রের সঙ্গে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে। যা অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমেও সংগ্রহ করা যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close