সোহেল মাজহার

  ১৫ আগস্ট, ২০২১

আগস্টের একরাত : গভীর মর্মবেদনার ইতিহাস

পঁচাত্তরের পনেরো আগস্ট বাঙালির জাতীয় জীবনে কী ধরনের নির্মম সত্য, নৃশংসতা সংগঠিত হয়েছে, আজ তা আর কারো অজানা নয়। বাঙালি কতটা অকৃতজ্ঞবোধের পরিচয় দিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা দুরূহ বিষয়। বাঙালির গৌরব স্বাধীনতা, মুক্তি, আত্মপরিচয় ও অহংকারের প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের ১৮ জন সদস্য কী নিদারুণ অন্যায় অবিচার ও নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছিলেন, সে কথা ভাবলে আজও যেকোনো মানুষের শরীর শিহরনে-কাঁটা দিয়ে ওঠে। শরীর রক্ত-রন্দ্রে, অনুভূতি মর্মে-মর্মে স্নায়ুর গভীরে দীর্ঘ ক্ষত, বেদনা ও অপরাধবোধ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার নৃশংসতা নির্মমতার কাছে মানুষ বিমূঢ় হয়ে পড়ে, বাকশক্তি স্তব্ধ হয়ে যায়। ঘাতকের সেই নৃশংসতা ইতিহাসের গভীর সত্যকে সেলিনা হোসেন তার আগস্টের একরাত উপন্যাসে ভাষা দিয়েছেন। উপন্যাসের চরিত্রগুলোর অন্তর্গত ভাবনা, তাদের মর্মবেদনা, মুহূর্তে মুহূর্তে তাদের ভাবনার গতিপথের উপলব্ধি ভাষায় ব্যক্ত করেছেন, পাঠক যেখানে সম্পূর্ণভাবে অসহায় হয়ে পড়েন।

উপন্যাসের মূল ভিত্তি Aditional Paper Books of Death Refcrence No. 30 of 1998 বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট In the Supreme Court of Bangladesh আপিল বিভাগ (Appellate Division). ১৫ আগস্টের রাতে ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল? লেখক সাক্ষীদের সাক্ষ্য থেকে সেই নিদারুণ সত্যকে উন্মোচন করেন। নায়েক মো. ইয়াসিন (অব.)-এর জবানবন্দি- ‘অনুমান ৩/৩-৩০টার দিকে ক্যাপ্টেন মোস্তফা সাহেবের নির্দেশে মার্স করিয়া একসময় ট্যাংক বাহিনীর একটি খোলামেলা জায়গায় পৌঁছি। সেখানে ট্যাংক বাহিনীর সৈনিকদের দেখতে পাই। আমাদের সেখানে ৬টি সেকশনে ভাগ করা হয়। আমাদের সিও মেজর খন্দকার আবদুর রশীদ এবং ট্যাংক বাহিনীর সিও মেজর ফারুক রহমান সাহেব আমাদেরকে ব্রিফ করেন। তাদের সাথে মেজর রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন মোস্তফা, মেজর ডালিম, ক্যাপ্টেন মাজেদসহ আরো কয়েকজন অফিসার ছিলেন।’ [পৃ: ২১ আগস্টের একরাত; সেলিনা হোসেন, নভেম্বর ২০১৩, সময় প্রকাশন, ঢাকা।]

এভাবে বিভিন্ন সাক্ষীর জবানবন্দিতে আরো যাদের নাম আগস্ট রাতের ঘৃণ্য কুশীলব হিসেবে উঠে এসেছে তারা হলেন মেজর মহিউদ্দিন (ল্যান্সার), মেজর শরীফুল আহাম্মদ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কিশমত হাসেম, লেফটেন্যান্ট নাজমুল হুদা, ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা, মেজর নূর, লে. কর্নেল শাহরিয়ার রশীদ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, সুবেদার মেজর আবদুল ওয়াহাব জোর্য়াদার, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, এ এ ডি মারফত আলি শাহ, আবুল হাশেম মৃধার নাম বারবার উচ্চারিত হয়েছে। পাশাপাশি নেপথ্যের কুশীলব হিসেবে উপন্যাসে মেজর জেনারেল জিয়ার নাম উঠে এসেছে। তৎকালীন ঢাকাস্থ ৪৬ ব্রিগেডের কমান্ডার কর্নেল শাফায়াত জামিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যায় হত্যাকা-ের খবরে বিমর্ষ উত্তেজিত অবস্থায় জেনারেল জিয়ার কাছ থেকে যে নির্লিপ্ত উত্তর পান, তার মধ্য দিয়ে ঘটনার সঙ্গে জেনারেল জিয়ার সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট হয়। পরে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত ও পুনর্বাসন করার মধ্য দিয়ে জেনারেল জিয়ার হীন উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়। লেখক উপন্যাসে কর্নেল শাফায়াত জামিলের সাক্ষীকে যেভাবে উন্মোচন করেন- ‘আমি দ্রুত ইউনিফরম পরে মেজর হাফিজসহ ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারের দিকে রওনা দিই। পথিমধ্যে জেনারেল জিয়াউর রহমানের বাসায় যাই এবং তাহাকে শেভরত অবস্থায় পাই। আমার নিকট থেকে ঘটনা শোনার পর তিনি বলিলেন- So what, President is Killed, vice President is there. up hold the Constitution. [পৃ: ১৩৫] নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে জিয়াউর রহমানের এই উক্তি শুনে মনে হয়, শেখ মুজিবুর রহমান শুধুই আর দশজন সাধারণ প্রেসিডেন্টের মতো একজন প্রেসিডেন্ট মাত্র। অর্থাৎ জিয়াউর রহমান ইচ্ছা করেই ভুলে গিয়েছিলেন তিনিই বঙ্গবন্ধু তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি এবং একজন প্রেসিডেন্ট থেকে অনেক অধিক। কাজেই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ এ ধরনের উক্তি করতে পারেন না। লেখক যেভাবে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে চিহ্নিত করেছেন ‘তিনিই তো সেই মানুষ যার নাম এ দেশের ঘরে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে। তাঁর নামে জেগে উঠেছে মানুষ। তাঁর ডাকে দুর্বিনীত যোদ্ধা হয়েছে মানুষ। তিনি দুঃখী মানুষের স্বপ্নকে লালন করেছেন। স্বপ্ন ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাই দেশ জুড়ে উচ্চারিত হয়েছে বিশাল স্লোগান তোমার নেতা-আমার নেতা শেখ মুজিব শেখ মুজিব। কুঁড়েঘর, ফসলের মাঠ, গ্রামীণ জনপদ, রাজপথ, শহর, শহরের বস্তি, বাড়িঘর, দালানকোঠার ভেতরে কোটি কোটিবার এই নাম ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সেই সম্মিলিত কণ্ঠস্বর জোয়ারের জলের মতো পলিমাটি বয়ে এনেছে এই ভূখণ্ডের সবখানে। সেই ভূখণ্ডে তিনি বুনেছেন বীজ। সেই বীজ থেকে প্রস্ফুটিত হয়েছে ফুল। যে ফুলের নাম স্বাধীনতা। এই ফুল বাগানে ফোটে না। ফোটে জাতির জীবনে।’ [পৃ: ৩৮, আগস্টের একরাত : সেলিনা হোসেন, নভেম্বর ২০১৩, সময় প্রকাশন, ঢাকা]

লেখক উপন্যাসে একটি বিশেষ আঙ্গিক ব্যবহার করে সাক্ষীদের জবানবন্দির ভেতর আগস্টের সেই রাতের মর্মবেদনার ঘটনা পরম্পরা ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। বস্তুত ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের ঘৃণ্য কুশীলবরা তাদের অধীন সাধারণ সৈনিকদের বিভ্রান্ত করেছেন। সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ডের সুযোগ নিয়ে তাদের বিপথে চালিত করেছেন। অনেকেই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর মর্মাহত হয়েছেন, বেদনাহত হয়েছেন, বিবেকের দংশনে জর্জরিত হয়েছেন। সাক্ষীদের দেওয়া ভাষ্য অনুযায়ী জানা যায় ঘাতকের দল যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাড়ি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও শেখ ফজলুল হক মণির বাসভবনে আক্রমণে করে। বিনা প্ররোচনায় গুলিবর্ষণ ও অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করে। তারা ছিল সব ঠাণ্ডা মাথায় ভয়ংকর খুনি। বঙ্গবন্ধু মুজিব সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছেন। তিনি তার চ.অ মহিতুল ইসলাম সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ ও কর্নেল জামিলকে ফোন করেছিলেন। মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ ছিলেন পরিস্থিতির কাছে অসহায়। মহিতুল ইসলাম বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেছেন, ভাগ্য ছিল বিরূপ। কর্নেল জামিল বঙ্গবন্ধুকে বাঁচানোর জন্য ছুটে এসে নিহত হয়েছেন। লেখক সেই রাতে বেগম মুজিব, শেখ জামাল, সুলতানা কামাল খুকু, মিসেস জামিল, শেখ আবু নাসের, আবদুর রব সেরনিয়াবাত, রোজী জামাল, শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহৃত চশমা তার এরিনমোর তামাক ও পাইপসহ ব্যক্তি, বস্তু, ঘটনা পরিপার্শ্বিক অবস্থা এমনকি রমনা উদ্যানের আশ্চর্য অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। পাঠকের কাছে এক সংবেদনশীল মনোজগৎ-মনোজগতের বহু মাত্রিক বিস্তার, স্মৃতি, বিস্মৃতি, নস্টালজিক অনুভব ও মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তিত ভাবনাকে মেলে ধরেন।

লেখক আগস্টের সেই রাত ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে যুক্ত মেজর ডালিমের রেডিও স্টেশন দখল, ঘোষণা, মেজর ফারুক ও ডালিমের সশস্ত্র অবস্থায় সেনাপ্রধানসহ তিন বাহিনীর প্রধানের অনুগত্য আদায়, মেজর জিয়ার কৌশলী অবস্থান, খালেদ মোশাররফ ও কর্নেল শাফায়াত জামিলের অসহায়ত্ব, বনানী কবরস্থানের দারোয়ান হালিম, বঙ্গবন্ধুর বন্ধু আ. মান্নান, কাজের ছেলে রমা, সেলির মনোযাতনা খোন্দকার মোশতাক আহমেদ ও তাহের উদ্দীন ঠাকুরের অপতৎপরতা, বঙ্গবন্ধুর অন্যায় হত্যাকে প্রত্যাখ্যান করে কর্নেল আবু তাহেরের ক্ষোভ প্রকাশ, শাফায়াত জামিলের ড্রাইভার আয়েন উদ্দিনের অসহায়ত্ব এবং কিছু সেনা অফিসার ও সাধারণ সৈনিকের বিবেক দংশন উঠে এসেছে। শুধু তা-ই নয়, ঘটনার এক দিন পরে মেজর শাহাদাত হোসেন খান ঘটনা তদন্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে মেজর বজলুল হুদাকে হত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। ঘটনার ভয়াবহতায় মেজর শাহাদাত হোসেন বেদনাহত হয়েছেন।

খুনিচক্র এতটাই উন্মত্ত, ক্ষমতালিপ্সু, ভীতু ছিলেন যে তারা ধর্মীয় নিয়ম-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করেনি। নিহতদের কাফনের কাপড় ও গোসল ছাড়া বনানী কবরস্থানে কবরস্থ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের লাশ হেলিকপ্টার যোগে টুঙ্গিপাড়া নিয়ে কাফনের কাপড় ও গোসল ছাড়া দাফনের উদ্যোগ নিলে মৌলভি আবদুল হালিম দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিবাদ করেন। সেদিনের সেই ঘটনার বর্ণনা একজন প্রত্যক্ষদর্শী দেন এভাবে ‘আমরা যাহারা উপস্থিত ছিলাম তাহারা বলি, মুসলমানের লাশ বিনা গোসলে বিনা জানাজায় দাফন করা যায় না। তখন আর্মির লোকেরা গোসল এবং জানাজার জন্য ১০ মিনিট সময় দেয়। তখন আমি রজ্জব আলী সি আই সাহেব পাশেই রেডক্রস হাসপাতালে যাইয়া তিনখানা সাদা শাড়ি কাপড় লইয়া আসি। কাছের দোকান হইতে ৫৭০ দুইটা সাবান লইয়া আসি।...

...পুলিশের সামনেই আমরা দাফনের কাজ করিয়াছি। বঙ্গবন্ধুর পরনের কাপর-চোপড় আবদুল মান্নান শেখের কাছে আমরা রাখিয়া দেই। চশমা এবং পাইপ চোখে/হাতে ছিল না। দাফনের সময় বাহিরে হাজার হাজার লোক ছিল, আর্মিরা বাহিরের কোনো লোক আসিতে বাধা দেয় ভিতরে যাহারা ছিল তাহারা জানাজা পড়ে। বাড়ির পাশে বাড়ির এরিয়ার ভিতরে জানাজা হয়।’ [পৃ: ২২৫, আগস্টের একরাত : সেলিনা হোসেন, নভেম্বর ২০১৩, সময় প্রকাশন, ঢাকা।]

একটি দেশকে স্বাধীন করার জন্য, বিশ্বসভায় স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করা মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধু মুজিব। স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে দ্রুততম সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন, দ্রুততম সময়ে ১৩০টি দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছেন। ৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। এই মানুষটি যদি কোনো ভুল বা অপরাধ করে থাকে তাহলে কি এই শাস্তি ছিল? বেগম মুজিব তার উত্তর দিচ্ছেন এভাবে ‘আমার স্বামীর যদি কোনো অপরাধ থাকত, তাহলে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় কারানোর জন্য একটি গণ-আন্দোলনই যথেষ্ট ছিল। তিনি সাধারণ মানুষের দাবি মাথা পেতে নিতেন, সাধারণ মানুষের কথা শুনতে শুনতেই রাজনীতি করতে শিখেছিলেন। নেতা হয়েছিলেন।’ [পৃ: ১১৫] অথচ কত গভীরভাবে তিনি বাঙালিকে ভালোবেসে ছিলেন, বিশ্বাস করেছিলেন। তাই ডিজিএফআইয়েএর ষড়যন্ত্র রিপোর্ট, বিদেশি পত্রিকায় ষড়যন্ত্রের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেও তার বিশ্বাস ছিল অটুট ও স্থির। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে বীর ও সাহসী, যে কারণে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলতে পেরেছিলেন তোরা কী চাস? তার মৃত্যুতে বেদনাহত হয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বরেণ্য রাজনীতিবিদ বুদ্বিজীবী সাহিত্যিক-সাংবাদিকরা। বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রাষ্ট্রচিন্তাবিদ, আবুল ফজল মনে করেন ‘বাংলাদেশের মানুষকে বাঙালি বলে পরিচয় দেওয়ার হিম্মত কে জুগিয়েছেন? শেখ মুজিব ছাড়া এর কি দ্বিতীয় কোনো জবাব আছে? শেখ মুজিবকে হত্যা করা মানে, এক অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করা।’ [পৃ: ২০৮, আগস্টের একরাত : সেলিনা হোসেন, নভেম্বর ২০০৩, সময় প্রকাশন, ঢাকা।]

সেলিনা হোসেন জীবিত ও মৃত চরিত্রদের সমন্বয়ে উপন্যাসকে বিন্যস্ত করেছেন। তাদের অন্তরালের ভাবনাকে ভাষা দিয়ে লেখা হয়েছে ৭৫-এর ১৫ আগস্টের দুঃসহ রাত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close