আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি
গাজার জন্য আশার আলো দেখছেন জাতিসংঘ প্রধান
দীর্ঘ এক বছর লড়াইয়ের পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথমদিন ভালোভাবেই অতিবাহিত হয়েছে। আর এতে ‘আশার আলো’ দেখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একইসঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘপ্রধান। খবর আল-জাজিরার।
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এ যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আরো উত্তাল হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যস্থতায় গত বুধবার থেকে ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ। যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে বুধবার হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত লোককে দক্ষিণ লেবাননে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে দেখা গেছে। দীর্ঘদিন পর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা হয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আমি একটি শুভ লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি। যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আঞ্চলিক যুদ্ধ ঠেকাতে ‘প্রথম আশার আলো’। লিসবন সফরের সময় একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, এটি অপরিহার্য যে যারা যুদ্ধবিরতি প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেছে, তারা এটিকে সম্পূর্ণভাবে সম্মান করবে। গুতেরেস আরো বলেন, লেবাননে
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। এখন গাজায় যুদ্ধবিরতি দরকার।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় বৈরুতসহ লেবানন জুড়ে কমপক্ষে ৩ হাজার ৮২৩ জন নিহত এবং ১৫ হাজার ৮৫৯ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় ৪৪ হাজার ২৮২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন আহত হয়েছে।
"