আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রাজিলে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জোড়া বিস্ফোরণ, নিহত ১
ব্রাজিলে রাজধানী ব্রাসিলিয়ার কেন্দ্রস্থলে ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক আদালত খালি করে ফেলা হয়। বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করছে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ। খবর আল জাজিরার।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, অন্তত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধোঁয়া এবং আগুনের বরফ বাতাস থেকে দৃশ্যমান হওয়ায় আদালত নিজেই খালি করা হয়েছিল।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের অধিবেশন শেষের দিকে দুটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তাৎক্ষণিক বিচারক, মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপদে ভবনগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ব্রাসিলিয়ার সুপ্রিম কোর্ট এলাকাটি ‘থ্রি পাওয়ার প্লাজা’ নামে পরিচিত। সুপ্রিম কোর্টের পাশাপাশি সেখানে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ, ফেডারেল সরকারের জাতীয় কংগ্রেসের নিন্মকক্ষ এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় কক্ষের ভবন রয়েছে।
বিস্ফোরণের সময় জাতীয় কংগ্রেসের চেম্বার অব ডেপুটির অধিবেশন চলছিল। জোড়া বিস্ফোরণে আতংকিত হয়ে পড়েন এমপিরা। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না পর্যন্ত কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন।
ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ঘটনায় এলাকায় একটি বোমা নিয়ন্ত্রণ স্কোয়াড টিম দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। এছাড়া হামলার তদন্তের জন্য পুলিশ তদন্ত টিম গঠন করা হচ্ছে।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, প্রথম বিস্ফোরণটি সুপ্রিম কোর্টের দরজার কাছে। এতে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টাকালে এক ব্যক্তি আঘাতপ্রাপ্ত ও প্রাণ হারান।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি আদালতের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের সামনে রাস্তার পাশে হয়েছে, যেখানে গাড়ি পার্ক করা ছিল। সেখানে গাড়ির বুট থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন তারা।
বুধবারের বোমা হামলার ঘটনার সন্দেহভাজন কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। কী উদ্দেশ্যে এ হামলা, তাও জানা যায়নি।
সিনেটের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাচেকো বলেন, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি যে কেউ মারা গেছেন। অবশ্যই, আমরা আমাদের সমস্ত আবেগ, আমাদের সংহতি জানিয়ে শোক প্রকাশ করছি।
ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান লুইস রবার্তো বারোসো প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
থ্রি পাওয়ার প্লাজা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থনে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী স্কোয়ারে নেমে আসে, সরকারী ভবন ভাংচুর করে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।
"