আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৩৩, লেবাননে ২৩
গাজার জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে মা-বাবা, সন্তানসহ একই পরিবারের সব সদস্য। স্থানীয় সময় রবিবার এ হামলা চালানো হয়। অন্যদিকে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উত্তরে বাইব্লোসের কাছে আলমাতে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় সাত শিশুসহ অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
উত্তর গাজায় সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা ও গাজার হামাস পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ১৩ শিশু রয়েছে। পূর্বসতর্কতামূলক কোনো বার্তা ছাড়াই ইসরায়েল গাজার শরণার্থীশিবিরের একটি ভবনে এ হামলা চালানো হয়। ওই সময় লোকজন ভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটিতে থাকা বাসিন্দাদের অনেকেই ছিলেন শিশু ও নারী। তাঁরা উত্তর গাজা থেকে ঘরবাড়ি হারিয়ে এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) লেবাননে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জাবালিয়ায় সন্ত্রাসীরা কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে ও বেসামরিকদের রক্ষা করতে হামলা চালানো হয় বলে সংস্থাটি জানায়।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি না হওয়ায়, এ-সংক্রান্ত প্রচেষ্টার মধ্যস্থতা করা থেকে সাময়িকভাবে সরে দাঁড়াচ্ছে কাতার। এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, নির্মম এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ও বেসামরিক লোকজনের চলমান দুর্দশার অবসানে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো যখন সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা দেখাবে, তখনই আবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার মধ্যস্থতায় ফিরবে তারা।
অন্যদিকে ইয়েমেনে আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। রাজধানী সানায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতির অবস্থান লক্ষ্য করে দফায় দফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
"