আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য জেলেনস্কিকে দুষলেন ট্রাম্প
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দুষলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক পডকাস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করলে ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির যে আমূল পরিবর্তন হতে পারে, তার এই মন্তব্যে সেই ধারণা আরও পাকাপোক্ত হলো। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সঞ্চালক প্যাট্রিক বেট-ডেভিডের ওই পডকাস্টে ট্রাম্প বলেছেন, কেবল যুদ্ধ শেষ করতে ব্যর্থতা নয়, বরং যুদ্ধটা উসকে দেওয়ার দায় জেলেনস্কির।
তিনি বলেছেন, ‘তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আমি তার (জেলেনস্কি) পাশে দাঁড়াবো না। আমি মানুষগুলোর (ইউক্রেনীয়) জন্য সমবেদনা অনুভব করছি। কিন্তু যুদ্ধ শুরু হতে দেওয়াই তার উচিত হয়নি। এটি শুরু থেকেই ছিল একটি হেরে যাওয়া যুদ্ধ।’
নির্বাচনি প্রচারণাকালে ক্রমাগত জেলেনস্কির সমালোচনা করে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ২০২২ সালে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার পর থেকে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা বাগানোর জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ‘বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিক্রেতা’ (দ্য গ্রেটেস্ট সেলসম্যান অন আর্থ) বলে একাধিকবার কটাক্ষ করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী। মস্কোর সঙ্গে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হওয়ার দায় জেলেনস্কির কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, প্রয়োজনে কিছু ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দিয়ে হলেও ইউক্রেনের উচিত শান্তিচুক্তি করে ফেলা।
মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জয়লাভ করলে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন সহায়তার বরাদ্দ কমে যেতে পারে। অন্তত ট্রাম্পের বক্তব্যে মানুষের মধ্যে সেই ধারণাই বদ্ধমূল হচ্ছে।
ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, নির্বাচনে জিতলে জানুয়ারিতে অফিস শুরু করার আগেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন তিনি। তবে কী উপায়ে তা করা হবে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করেননি ট্রাম্প। অন্যদিকে, ইউক্রেনের জন্য সমর্থন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনি দাবি করেছেন, পূর্ব ইউরোপের দেশটির বিজয়ের সঙ্গে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করতে অনাগ্রহী হওয়ার জন্য একাধিকবার ট্রাম্পকে কটাক্ষ করেছেন হ্যারিস।
"