আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

সীমান্তে ভবন তুলছে চীন ভারতের ঘুম হারাম!

সীমান্তরেখা থেকে মাত্র ৩৬ কিলোমিটার ভেতরে ছোট ছোট ভবন তুলে চলেছে চীন। আর তাতেই ঘুম হারাম হয়ে গেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের। তাদের দাবি, এসব ভবন নির্মাণের আড়ালে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তুলছে বেইজিং। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, লাদাখ সীমান্তে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে পূর্বদিকে ৩৬ কিলোমিটার দূরে এই নির্মাণকাজ চলছে। ৭০টিরও বেশি ভবন নিয়ে গড়ে ওঠা এলাকাটিকে চীন ‘জনপদ’ বললেও ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের ধারণা, এগুলো আসলে সামরিক ঘাঁটি।

ম্যাক্সার টেকনোলজিসের উপগ্রহ চিত্রবিশ্লেষণ করে তারা জানিয়েছেন, দুই বছর আগেও ওই এলাকায় কোনো অবকাঠামো ছিল না। নতুন করে গড়ে তোলা প্রতিটি ভবনে ছয় থেকে আটজন করে থাকতে পারবে অথবা ১০ টন সরঞ্জাম মজুদ রাখা সম্ভব। শুধু তা-ই নয়, এসব ভবন এতটাই শক্তিশালী যে মিসাইল হামলাও প্রতিহত করতে সক্ষম।

বিশ্লেষকদের মতে, লাদাখের সীমান্তের কাছে প্যানগং লেকে চীন যে নতুন সেতুটি নির্মাণ করেছে, নতুন ভবনগুলো সেখান থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। চলতি বছরের মার্চ মাসে এসব ভবন নির্মাণ শুরু হয়েছে বলেও তাদের ধারণা।

এ বিষয়ে নর্দার্ন কমান্ডের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুদা বলেন, চীন হয়তো দাবি করবে, সাধারণ নাগরিকদের জন্যে এসব ভবন তৈরি করা হচ্ছে। তবে এটা স্পষ্ট, এগুলো সামরিক ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে। তিনি মনে করেন, ২০০৫ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে

স্বাক্ষরিত এক চুক্তির সুযোগ নিচ্ছে বেইজিং। ওই চুক্তি অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষদের সুরক্ষা দিতে পারবে

দুই দেশ। আগে এই এলাকায় কোনো জনবসতি না থাকলেও এখন সেখানে বসতি স্থাপন করে ভারতের ওপর মনস্তাত্বিক চাপ তৈরি করতে চাইছে চীন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close