আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে হেলেনের আঘাতে নিহত ৪৩ পরিবার বিদ্যুৎহীন ৩৫ লাখ
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হেনেছে দেশটির ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হেলেন। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মারা গেছে অন্তত ৪৩ জন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলে অন্তত ৩৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যাটাগরি-৪এর এই ঘূর্ণিঝড় স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লোরিডায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের ভূভাগে প্রবেশ করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হেলেনের তাণ্ডবে কোটি কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বিপুল পরিমাণ বাড়ি-ঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি সড়ক। একটি পরিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানায়, ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় সাঁতার কেটে তারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়ি থেকে বের হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এফইএমএ) জানায়, ছয় ঘণ্টার মধ্যে হেলেন হারিকেনে রূপ নেয়। ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের (এনএইচসি) তথ্য, হেলেনের প্রভাবে ফ্লোরিডা উপকূলের কোথাও কোথাও ১৫ ফুটের বেশি উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। সেসব জায়গায় ৫০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা হারিকেনগুলোর মধ্যে শক্তির বিবেচনায় হেলেন ১৪তম। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থলভাগেই ঘণ্টায় ৪২০ মাইল গতিতে বাতাস বয়ে গেছে। এর আগে ২০১৭ সালে হারিকেন আইডা এবং ১৯৯৬ সালে হারিকেন ওপালের সময় ঘণ্টায় ৪৬০ মাইল গতিতে বাতাস বইতে দেখা গেছে।
হারিকেন হেলেনের প্রভাবে ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, টেনেসি এবং উত্তর ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনার বিস্তীর্ণ এলাকায় তীব্র বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
"