আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভিয়েতনামে টাইফুন ইয়াগিতে মৃত্যু বেড়ে ৬৫
তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির আঘাতে ভিয়েতনামে অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির উত্তরাঞ্চলে লোহিত নদীর একটি সেতু ধসে পড়ে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন। খবর বিবিসির।
ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে রাজধানী হ্যানয়সহ উত্তরাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বন্যা, ভূমিধস ও অন্যান্য ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। অনেকেই মারা গেছেন ভূমিধস ও হড়কা বানে। আহত হয়েছেন আরো ৭৫০ জন।
ভিয়েতনামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এর মধ্যে একটি নদীতে সেতু ভেঙে গাড়ি নদীতে পড়ে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে উত্তরাঞ্চলীয় ফু থো প্রদেশে ঝড়ের তোড়ে লোহিত নদীর ওপর ফং চাউ সেতু ধসে পড়ে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সেতুর ভেঙে পড়ার মুহূর্তে বেশ কয়েকটি গাড়ি নদীতে পড়ে ডুবে যায়।
ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী হাউ ডুক ফোক জানিয়েছেন, সেতু ধসে নদীতে পড়ার সময় ১০টি গাড়ি ও দুটি স্কুটার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৩ জন নিখোঁজ হয়েছে।
ঘটনার পর তিনজনকে নদী থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান উপ-প্রধানমন্ত্রী হাউ ডুক ফোক।
একটি চলন্ত ট্রাক ধসে পড়া সেতুটির সঙ্গে নদীতে পড়ে যাচ্ছে এমন একটি মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ট্রাকচালক তার গাড়ি থামানোরও সময় পাননি। ঘটনার পর অন্তত তিনজনকে নদী থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার পাওয়া নিয়েন মিন হাই জানান, তিনি মোটরসাইকেলে করে সেতুটি পার হওয়ার সময় সেটি ধসে পড়ে। টাইফুন ইয়াগি ৩০ বছরের মধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়ও এটি। ইয়াগির কারণে দেশটির উত্তরাঞ্চল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এবং প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে রয়েছে। টাইফুন ইয়াগি শনিবার দুপুরে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানে। এর আগে টাইফুনটি চীনের হাইনান দ্বীপে তাণ্ডব চালায়।
"