আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে ট্রাম্প নাকি কমলা!
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির ভোটাররা। এবারের নির্বাচনে বড় প্রশ্ন হলো- ডোনাল্ড ট্রাম্প কি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, নাকি কমলা হ্যারিসকে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, নির্বাচনী জরিপগুলো দিচ্ছে একেক রকম আভাস। খবর বিবিসির।
এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছিল আগের বারের অর্থাৎ, ২০২০ সালের নির্বাচনের রি-ম্যাচ। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে প্রথম প্রেসিডেন্ট বিতর্কে বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হলে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। জনমত জরিপগুলোয়ও ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছিলেন বাইডেন। এসব নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মুখে বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গিয়ে প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় সম্মেলনে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে কমলা হ্যারিস প্রচারে নামার পর থেকেই ঘুরতে থাকে মাঠের মোমত। জরিপে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলতে থাকেন কমলা। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দুজন। ভোটার সমর্থনের গতি-প্রকৃতি আরো স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে এরপর।
সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ের জরিপে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি ছোট লিড গড়ে তুলেছেন কমলা। পোল ট্র্যাকার চার্ট বলছে, জাতীয় নির্বাচনে গড়ে ৪৭ শতাংশ পয়েন্ট জিতে এগিয়ে রয়েছেন কমলা। অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ট্রাম্পের গড়ও তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল।
তবে এই জাতীয় জরিপ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে একজন প্রার্থী কতটা জনপ্রিয়, সেটিরই শুধু ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। তবে নির্বাচনে তিনি জিতবেন কি না, সেটি সুনির্দিষ্ট করে বলার উপায় নেই। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি ব্যবহার করে। তাই সবচেয়ে বেশি ভোট জেতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোথায় বা কোন রাজ্যে জিতেছে, সেটি।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য রয়েছে কিন্তু বেশির ভাগই প্রায় সব সময় একই দলকে ভোট দেয়। তবে সামান্য কয়েকটি রাজ্য রয়েছে, যেখানে উভয় প্রার্থীই জয়ী হওয়ার সুযোগ থাকে। দৌদুল্যমান ভোটারদের সেই রাজ্যগুলোকে বলা হয় ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট। মূলত এই ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট যে জিতে নিতে পারে, নির্বাচনে জয়ী হন তিনিই।
ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যে কে জিতছে?
এই মুহূর্তে, সাতটি ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যে ভোটের উত্তেজনা খুব টানটান। সাম্প্রতিক এবিসি জরিপে দেখা গেছে, কয়েকটি রাজ্যে দুই প্রার্থীকে আলাদা করে দেখলে তাদের মধ্যে যে কারো জেতার ব্যবধান ১ শতাংশেরও কম।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য পেনসিলভানিয়া, এ রাজ্যে সর্বাধিকসংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে এবং তাই এই রাজ্যে জিতে যাওয়া বিজয়ীর পক্ষে প্রয়োজনীয় ২৭০ ভোটে পৌঁছানো সহজ করে তোলে।
পেনসিলভানিয়া ছাড়াও অন্য ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্য হচ্ছে জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলিনা, মিশিগান ও উইসকনসিন।
"