আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মার্কিন-তুর্কি নারীকে গুলি করে হত্যা ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে বিক্ষোভকালে মার্কিন-তুর্কি তরুণীকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিমতীরের নাবলুসে এ ঘটনা ঘটেছে। আয়সানুর ইজগি আইগি নামে ২৬ বছরের ওই তরুণীকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রতি ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। খবর বিবিসির।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের দ্বৈত নাগরিক আয়সানুর ইজগি আইগি শুক্রবার নাবলুসের কাছে বেইতা শহরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন।

একজন সহ-বিক্ষোভকারী বলেছেন, আয়সানুর আইগি প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনিপন্থি গোষ্ঠী ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি মুভমেন্টের সঙ্গে শুক্রবারের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই আয়সানুরকে ইসরায়েলি সেনারা গুলি করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বৈত নাগরিক আইগিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের এক সেনা গুলি চালালে দ্রুত তাকে নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

রাফিদিয়া হাসপাতালের প্রধান ডা. ফুয়াদ নাফা নিশ্চিত করেছেন, ওই তরুণীর ‘মাথায় বন্দুকের গুলি’ লেগেছিল। আর তাতেই মারা গেছেন তিনি।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি নাগরিক জোনাথন পোলাক বলেন, দুটি গুলির শব্দ শুনেছি। একের পর এক গুলি করা হয়েছে। তারপর আমি তাকে গাছের পাশে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি, তার মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

পোলাক বলেন, ‘আমি আইগির মাথা থেকে রক্তপাত বন্ধ করার জন্য যে হাত দিয়ে চেপে ধরি, তাতে আমার হাতেও রক্ত লেগে যায়।’ তুর্কি মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, আয়সানুর আইগির জন্ম তুরস্কের আন্তালিয়ায়। তিনি বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন।

এ ঘটনায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আয়সানুর আইগি নাবলুস শহরে ইসরায়েলি দখলদার সৈন্যদের হাতে বর্বরভাবে নিহত হয়েছেন। নিজেদের নাগরিক হত্যার ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি মর্মান্তিক ক্ষতি। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে এ ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, নাবলুসে গুলি চালানোর ফলে একজন বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে বলে প্রতিবেদনগুলো খতিয়ে দেখছে তারা। হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, আমরা পরিস্থিতির সম্পূর্ণ তদন্ত দেখতে চাই এবং জনগণকে জবাবদিহি করতে হবে। বেসামরিক নাগরিক সর্বদা সুরক্ষিত থাকতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close