আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি হামলায় ৭ দিনে নিহত ৪০
গাজা উপত্যকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে সম্প্রতি দখলকৃত পশ্চিমতীরে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। সর্বশেষ অভিযানে গত এক সপ্তাহে সেখানে নিহত বেড়ে হয়েছে ৪০ জন। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।
ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৮ আগস্ট থেকে অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরায়েল বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এতে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪০ জনে পৌঁছেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্য মতে, পশ্চিমতীরের জেনিন, তুলকারেম, হেবরন ও তুবাসসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে একযোগে অভিযান চালিয়েছে তারা।
ওয়াফা জানায়, অভিযানে জেনিনে ২১ জন, তুলকারেমে আটজন, তুবাসে আটজন, দক্ষিণ হেবরনে তিনজন রয়েছে।
সর্বশেষ মৃত্যু ঘটেছে তুবাসে। সেখানে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে বোমা হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি যুবক নিহত হয়েছে।
এ ছাড়া ফারা শরণার্থীশিবিরে ১৬ বছর বয়সি একটি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার বুকে একাধিক গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিমতীরে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের মতো কৌশল’ ব্যবহার করছে?
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পূর্ব জেনিনে ৪ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে বন্দুকের মুখে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমাবর্ষণ চলছে। বুধবার সর্বশেষ হামলায় অন্তত ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৪০ হাজার ৮৬১ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ৯৫ হাজার আহত হয়েছে।
গাজার প্রতিটি মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল ও মদদদাতারা দায়ী : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যারা খাদ্য, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের কারণে মারা গেছে, তাদের প্রত্যেকের মৃত্যুর জন্য ইসরায়েল ও তার সমর্থকরা দায়ী। বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় সফররত মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন তিনি।
এরদোয়ান বলেছেন, ‘অনাহার, পানি বা ওষুধের অভাবে গাজায় মারা যাওয়া প্রতিটি নিরপরাধ ব্যক্তির মৃত্যুর দায় ইসরায়েল এবং তার সমর্থকদের ওপর বর্তায়।’
তিনি বলেছেন, গাজায় ৪১ হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের কংগ্রেসের মঞ্চে নয়, আদালত কক্ষে দাঁড়ানো উচিত।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, তেল আবিব ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় একটি আপসহীন অবস্থান নিয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, তাকে হত্যা করে ইসরায়েল তার প্রকৃত মনোভাব সকলের কাছে উন্মোচন করেছে।
এরদোয়ান আরো বলেছেন, ‘শুধু দ্বিমুখী নীতি পরিত্যাগ করার মাধ্যমেই ইসরায়েলকে আমাদের অঞ্চলকে আরো উত্তেজনার দিকে টেনে নেওয়া থেকে বিরত রাখা যেতে পারে।’
এদিকে মিসরের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, আঙ্কারা কায়রোর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
"