আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গাজায় নিহত ছাড়িয়েছে ৪০ হাজার ৮০০

গাজা উপত্যকায় লাগাতার ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৮১৯ জন হয়েছে। মঙ্গলবার যুদ্ধবিধ্বস্ত এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ৬৭ জন আহত হয়েছে। অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছে। কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, প্রায় ১১ মাস ধরে চলমান এই যুদ্ধে অন্তত ৯৪ হাজার ২৯১ জন আহত হয়েছে।

অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে গাজায় ক্রমাগত নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে দেশটি আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অবিরাম বোমা বর্ষণের ফলে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলিদের অবরোধের কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।

গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করে যাচ্ছে।

হামাসপ্রধানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ গঠন : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে কয়েকটি ফৌজদারি অভিযোগ গঠনের কথা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে সংগঠনটির নজিরবিহীন হামলার ঘটনার পরিকল্পনা, সমর্থন ও তা সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ওই হামলা সংঘটিত করায় ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছাড়াও হামাসের অন্তত পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলায় ৪০ জনের বেশি মার্কিনসহ ১ হাজার ২০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি ইসরায়েলের।

৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ নিতে ওইদিন

থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায়

এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, বিবাদী ব্যক্তিরা ইরান সরকারের অস্ত্র, সমর্থন ও অর্থায়নে এবং হিজবুল্লাহর সহযোগিতায় ইসরায়েলের ধ্বংস সাধন এবং বেসামরিক লোকজনকে হত্যায় হামাসের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

হামাসের ওই ছয় নেতার মধ্যে তিনজন নিহত হয়েছেন। যে তিন নেতা জীবিত আছেন, তাদের মধ্যে সিনওয়ার ছাড়া অন্য দুজন হলেন খালেদ মেশাল ও আলি বারাকা। হামাসপ্রধান সিনওয়ার গাজায় আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। খালেদ মেশাল কাতারের দোহায় থাকেন এবং হামাস বৈদেশিক শাখার নেতৃত্ব দেন। আর হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলি বারাকা লেবাননে থাকেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close