আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত যুক্তরাজ্যের
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানির ৩০টি লাইসেন্স স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি থাকায় দেশটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। খবর রয়টার্স।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে ব্রিটিশ অস্ত্র রপ্তানির কিছু মূল্যায়ন এসেছে। আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই মূল্যায়নে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ব্রিটিশ অস্ত্র রপ্তানি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনলঙ্ঘন করতে বা সহায়তা করতে ব্যবহৃত হতে পারে- এমন পরিষ্কার ঝুঁকি রয়েছে। এ কারণে ৩০টি অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স স্থগিত করা হচ্ছে। এর অধীনে সামরিক বিমান, যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ল্যামি বলেন, এই স্থগিতাদেশ কোনো সার্বিক নিষেধাজ্ঞা বা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং ইসরায়েল ও গাজার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতে ব্যবহৃত হতে পারে এমন অস্ত্র রপ্তানিকে লক্ষ্য করে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ইসরায়েলের কাছে ব্রিটিশ অস্ত্র রপ্তানি মোট অস্ত্রের এক শতাংশেরও কম। তাই এই স্থগিতাদেশ ইসরায়েলের নিরাপত্তায় কোনো বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন তিনি। এ সময় যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত জুলাই মাসে ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। এর পরপরই ইসরায়েলের প্রতি ব্রিটেনের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সুনিশ্চিত করতে একটি পর্যালোচনা করার কথা জানিয়েছিলেন ল্যামি।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের কাছে সরাসরি অস্ত্র বিক্রি করে না। বরং আইন অনুযায়ী কোনো অস্ত্র বিক্রিকারী কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। তারা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে থাকে।
"