আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার ভেতরে যুদ্ধ ঠেলে দিয়েছেন জেলেনস্কি
রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্কে বড় ধরনের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। তারা রুশ বাহিনীকে হটিয়ে কয়েকটি গ্রাম দখলেও নিয়েছে। রাশিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে এই হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর বিবিসির।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন যে তার সামরিক বাহিনী রাশিয়ার পশ্চিমের কুরস্ক অঞ্চলে আক্রমণ চালাচ্ছে। এজন্য তিনি তার দেশের সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
শনিবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী যুদ্ধকে ‘হানাদার অঞ্চলে’ ঠেলে দিচ্ছে।
কুরস্কে যুদ্ধ শুরুর পাঁচ দিনের মাথায় বিষয়টি স্বীকার করলেন জেলেনস্কি এবং তিনি সীমান্তের উভয়পাশের বেসামরিক জনগণকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন প্রমাণ করছে যে তারা প্রকৃতপক্ষে ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং হানাদার শক্তির ওপর প্রয়োজনীয় চাপ নিশ্চিত করতে পারে।
প্রতিবেদনে জানা গেছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রাশিয়ার অভ্যন্তরে ১০ কিমি (৬ মাইল) ভেতরে ঢুকে গেছে। তারা কুরস্কের বেশ কয়েকটি গ্রাম দখল করেছে এবং আঞ্চলিক শহর সুদজা দখল করার প্রচেষ্টায় রয়েছে।
মস্কো ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক হামলা শুরু করার পর পাল্টা আক্রমণ হিসেবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর জন্য এটিই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি।
এদিকে রাশিয়াও বলেছে, ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান নিয়ে ইউক্রেনের এক হাজারের বেশি সৈন্য গত মঙ্গলবার সকালে কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
কুরস্ক অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ বলেছেন, যুদ্ধে মধ্যে আজ রবিবার ভোরে কুরস্কে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুরস্ক সীমান্ত এলাকা থেকে ৭৬ হাজারের বেশি বেসামরিক লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
"