আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ৭
পাকিস্তানে বোমা হামলায় সাত সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার সেনা কর্মকর্তাও রয়েছে। রবিবার (০৯ জুন) খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের আফগান সীমান্তবর্তী জেলা লাক্কি মারওয়াতে এ ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ দপ্তরের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও জিও নিউজ।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রবিবার লাক্কি মারওয়াতে সামরিক বাহিনীর গাড়ির কাছে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরিত হলে এই সাত সেনা নিহত হয়।
দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইংয়ের দেওয়া তথ্য মতে, নিহতরা হলেন কাসুরের বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সি ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ ফারাজ ইলিয়াস, স্কার্দুর ৫০ বছর বয়সি সুবেদার মেজর মুহাম্মদ নাজির, ৩৪ বছর বয়সি ল্যান্স নায়েক মুহাম্মদ আনোয়ার, ৩৬ বছর বয়সি ল্যান্স নায়েক হুসেন আলী, মুলতানের ৩৩ বছর বয়সি সিপাহি আসাদুল্লাহ, গিলগিটের ২৭ বছর বয়সি সিপাহি মনজুর হুসেন এবং রাওয়ালপিন্ডি জেলার ৩১ বছর বয়সি সিপাহি রশিদ মেহমুদ নিহত হন। আইএসপিআর বলেছে, সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে এবং এই জঘন্য হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপজাতি অধ্যুষিত এই অঞ্চলটি দুই দেশে সক্রিয় জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানসহ (টিটিপি)-সহ আরো বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠী। পরমাণু শক্তিধর দেশটির সরকারকে উৎখাত করে সেখানে ইসলামি শাসন কায়েম করে সে অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায় এসব গোষ্ঠী। এর আগে গত মাসে পেশোয়ার জেলার হাসান খেল এলাকায় অভিযানে গিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ দুই সেনা সদস্য নিহত হন।
এদিকে সীমান্তবর্তী জেলায় বোমা হামলায় হতাহতের জেরে বিগত কয়েক মাসে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। ইসলামাবাদের দাবি, টিটিপি নেতারা প্রতিবেশী আফগানিস্তানে আশ্রয়গ্রহণ করেছেন। তারা পাকিস্তানের ভেতরে হামলা চালানোর জন্য আফগান মাটিতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ক্যাম্প চালায়। এ ছাড়া পাকিস্তানকে নিশানা করে হামলা চালায় এমন জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে দমনে কাবুল যথেষ্ট সহায়তা করছে না। তবে কাবুল বলছে, পাকিস্তানে যে এত এত হামলা হয়, এটা তাদের নিজেদের সমস্যা।
এদিকে খাইবার পাখতুনখাওয়ার গভর্নর ফয়সাল করিম কুন্ডি এবং মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন খান গান্ডাপুর লাকি মারওয়াত জেলার শাহাব খেলা এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন।
"