প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ নভেম্বর, ২০২৩

বৃষ্টির পরও ভয়াবহ বায়ুদূষণ স্বস্তি ফিরছে না দিল্লিতে

দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান আবার কমতে শুরু করেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির। দেশটির দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদের (সিপিসিবি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) ৪০০-এর কাছাকাছি রয়েছে।

দীপাবলির বেশ কয়েক দিন আগে বাতাসের গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু দীপাবলির পর আবার দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে দিল্লির অধিকাংশ এলাকায়। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত দিল্লির আরকে পুরম এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪১৭, আনন্দ বিহার এবং নারেলা এলাকায় একিউআইয়ের মাত্রা ৪৩০, ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪০৩, পঞ্জাবি বাগ এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪২৩। বাতাসের এই মান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির মুখ দেখেছিল দিল্লি। পরিবেশবিদরা অনুমান করেছিলেন বৃষ্টি হলেই রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান উন্নত হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তিও ফিরেছিল। দূষণের মাত্রায় বিশেষ হেরফের না হলেও বিষধোঁয়ার চাদর অনেকটা কেটে গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু দীপাবলি উপলক্ষে শব্দবাজি এবং আতশবাজির ব্যবহার, যানবাহনের ধোঁয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাসের গুণগত মান কমে গিয়ে দূষণ পরিস্থিতি আবার ‘ভয়াবহ’ হয়ে উঠেছে দিল্লির।

১৩ নভেম্বর থেকে দূষণ পরিস্থিতির কথা ভেবেই গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। এই প্রসঙ্গে দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বৃষ্টির ফলে রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মানের উন্নতি হয়েছে। তাই এখনই এই পথে হাঁটছে না তারা। তবে পাশাপাশি তারা এটাও জানিয়েছে, দীপাবলির পর বাতাসের গুণগত মান কেমন থাকে সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা উচিত কি না- সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন সাবেক কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। একাধিকবার করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close