প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৪ জুন, ২০২৩

ঋণসীমা বৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানো গেছে : বাইডেন

হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস থেকে প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, সরকারি ব্যয়ের জন্য ঋণসীমা বৃদ্ধির কারণে এ যাত্রায় ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ এড়ানো গেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (৩ জুন) বিলটিতে স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের। হাউস ও সিনেটে পাস হওয়ার পর প্রেসিডেন্টের সই করার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পরই তা আইনে পরিণত হবে অর্থাৎ কার্যকর শুরু হবে। খবর : বিবিসির।

সাধারণত যুদ্ধ বা জাতীয় বড় ধরনের দুর্যোগে ওভাল অফিস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওভাল ভাষণে অনেকটা রিপাবলিকানদের বিরল প্রশংসা শোনা গেল ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্টের ?মুখে। মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষে বিলটি পাস হওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, ‘বেশ ভালো আস্থার সঙ্গেই কাজটি সমাধা হয়েছে।’

সোমবার (৫ জুন) ঋণসীমার চূড়ায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ৩১ হাজার ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের যে সীমা তা পেরিয়ে যাওয়ার কথা। ফলে ঋণসীমা না বাড়ালে বাইডেন প্রশাসনের বেকায়দায় পড়ার চূড়ান্ত সম্ভাবনা দেখা দেয়।

বিলটি প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পর আইনে পরিণত হলে ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত অপ্রতিরক্ষামূলক খাতের ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের ঋণসীমা থাকবে না।

এদিকে যুক্তরাজ্যে এক মাসে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ১ দশমিক ৫৯ থেকে ১ দশমিক ৪৭ পাউন্ডে নেমে এসেছে। সাত মাস ধরে সেখানে ডিজেলের দাম কমতির দিকে। ২০২২ সালের সর্বোচ্চ দামের তুলনায় বর্তমানে যুক্তরাজ্যে জ্বালানি তেলটির দাম ২৫ শতাংশ কমে এসেছে।

মে মাসে ডিজেলের মূল্যহ্রাসকে রেকর্ড পরিমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছে বিবিসি। তবে রয়্যাল অটোমোবাইল ক্লাব (আরএসি) জানিয়েছে, ডিজেলের দাম আরো কমার কথা ছিল। পারিবারিক গাড়িতে ডিজেল ভর্তির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের পাম্পে সাড়ে ৬ পাউন্ড কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে মূল্যহ্রাসের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২০০০ সাল থেকে জ্বালানির বাজার পর্যবেক্ষণ করে আরএসি। তারা জানিয়েছে, এক মাসের হিসাবে এই মূল্যহ্রাস ২০০০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। গত বছর যুক্তরাজ্যে ডিজেলের লিটার ১ দশমিক ৯৯ পাউন্ডে গিয়ে ঠেকেছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে বিশ্বজুড়ে, বিশেষত ইউরোপ জুড়ে জ্বালানির বাজার গরম হয়ে ওঠে। আরএসি বলছে, দাম কমানোর সিদ্ধান্ত দেরিতে এসেছে এবং আরো বেশি দাম কমানো উচিত ছিল। কারণ পাইকারি বাজারে দাম তুলনামূলক আরো কম রয়েছে। ডিজেলের পাশাপাশি পেট্রলের দামও ধীরে ধীরে কমছে যুক্তরাজ্যে। আরএসি জানায়, গত মাসে ১ দশমিক ৪৬ পাউন্ড থেকে গড়ে ১ দশমিক ৪৩ পাউন্ডে নেমেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close