প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৮ মার্চ, ২০২৩

শান্তি ফেরার আশা মধ্যপ্রাচ্যে

হুতি বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেবে না ইরান

ইয়েমেনে শিয়াপন্থি হুতি বিদ্রোহীদের আর অস্ত্র সরবরাহ করবে না ইরান। চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের সঙ্গে মিত্রতা পুনঃস্থাপনের পর দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। প্রায় সাত বছর বৈরিতা চলার পর চীনের মধ্যস্থতায় গত সপ্তাহে ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক রাজনীতির দুই বৃহৎ শক্তি সৌদি আরব এবং ইরান। এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও স্বাক্ষর করেছেন দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা। সেই চুক্তিতে ইয়েমেনের প্রসঙ্গটিও ছিল। তেহরান জানিয়েছে, ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধ অবসানে একটি রাজনৈতিক সমাধান বের করতে এই চুক্তিটি সহায়ক হবে।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

কিন্তু এই অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরো তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুতি বিদ্রোহীরা।

ইয়েমেনের এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। কারণ ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে সহায়তা করছে সৌদি এবং হুতিদের প্রতিহত করতে ‘আরব জোট’ নামের একটি সামরিক জোটও গঠন করেছে দেশটি। জোটের প্রধান দুই দেশ ছিল সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close