প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৮ মার্চ, ২০২৩

চীন বিরোধিতায় ঘনিষ্ঠ হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান

বিগত বছরের বৈরিতা পেছনে ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এক বৈঠকে তারা অঙ্গীকার করেছেন নিজেদের মধ্যে বিভেদকে দূরে সরিয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার।

দক্ষিণ কোরীয় নেতা ইয়ুন সুক ইয়েওল ও জাপানের নেতা ফুমিও কিশিদা এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় টোকিওতে। ১২ বছরের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের এটিই প্রথম জাপান সফর। এই সম্মেলন তুলে ধরছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি মিত্র দেশের আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রবণতা। যা দ্রুততর হয়েছে উত্তর কোরিয়ার নিয়মিত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চীনের আরো শক্তি প্রদর্শন নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ।

ইয়ুন জাপানে পৌঁছার কয়েক ঘণ্টা আগেও উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও উত্তর কোরিয়ার হুমকিকে সামনে আনছে। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্রটি কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী সাগরে পতিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের দীর্ঘ দিনের উত্তেজনা ধীরে ধীরে কমে আসছিল। বিশেষ করে চীন ও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ এতে ভূমিকা রেখেছে।

ইউনিভার্সিটি অব শিজৌকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক হিদেকি ওকুজনো বলেন, এর আগ পর্যন্ত দুই দেশের নেতারা ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিলিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। যদিও দেশ দুটি প্রতিবেশী এবং গণতান্ত্রিক, দুটি দেশের রয়েছে বাজার অর্থনীতি ও উভয় দেশই মার্কিন মিত্র।

হিদেকি ওকুজনো বলেন, ঘটনা হলো প্রেসিডেন্ট ইয়ুন জাপান সফর করেছেন এবং দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছে, কোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হওয়া নয় এটি। এই ঘটনায় ইঙ্গিত দিচ্ছে এটি একটি সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দেশে চার বছর পর পুরোনো বাণিজ্যিক বিরোধের মীমাংসায় সম্মত হয়েছে। চিপ তৈরির জন্য অত্যাধুনিক উপকরণ নিয়ে সৃষ্ট এই বিরোধ সম্পর্কে শিথিলতা আনে। এমনকি সেমিকন্ডাক্টরের রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি, এগুলোর সরবরাহ নিশ্চিত করার তাগিদ বেড়েছে। উভয় নেতাই একে অপরের দেশে নিয়মিত সফর পুনরায় চালু করতে একমত হয়েছেন। ২০১৮ সালে স্থগিত হওয়া দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সংলাপ পুনরায় চালু করতেও রাজি হয়েছে দুই দেশ।

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জাপানের বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্কের মূলে রয়েছে যুদ্ধকালীন ইতিহাস। বিশেষ করে ১৯১০-১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরীয়দের জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করা এবং নারী ও মেয়েদের জাপানের সেনাবাহিনীর পতিতালয়ে কাজ বাধ্য করার ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিরোধ ছিল গুরুত্বপূর্ণ। জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাহম এমানুয়েল টুইটারে লিখেছেন, দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ, মূল্যবোধ ও লক্ষ্যের জন্য আজকের দিনটি একটি ভালো দিন। সূত্র: রয়টার্স

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close