প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

বিবিসিকে জাতিসংঘ দূত

গুরুতর পর্যায়ে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সহিংসতা

জেরুজালেমে জাতিসংঘের দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর মধ্যে বাড়তে থাকা সহিংসতা পরিস্থিতিকে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ রক্তক্ষয় বন্ধে বলিষ্ঠ কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন কমে আসার কারণে পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, জাতিসংঘ দায়িত্ব নিতে পারে না, আমরা ফিলিস্তিন শাসন করতে পারি না।

গত মাসে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সহিংসতায় ৩৫ জনের বেশি ফিলিস্তিন এবং সাতজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এ যাবৎকালের কট্টর-ডানপন্থি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সরকার ক্ষমতায় এসেই অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইহুদি বসতি স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।

ওয়েনেসল্যান্ড জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া-বিষয়ক বিশেষ সমন্বয়ক। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মাঝে মধ্যেই ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা এবং সংকট সামাল দেওয়ার চেষ্টায় তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দুই পক্ষের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করছেন। র্দীঘস্থায়ী শান্তির আশাও ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।

ইসরায়েলে বর্তমান ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি’ এবং ফিলিস্তিনের নেতৃত্ব নিয়ে ‘জটিল পরিস্থিতির’ মধ্যে কূটনৈতিক পরিবেশ সেখানে এখন কঠিন বলে ওয়েনেসল্যান্ড স্বীকার করেছেন। তবে শান্তি প্রক্রিয়া মরে গেছে এমন কথাও বলতে নারাজ তিনি।

ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, ইসরায়েলে যে সরকারই থাকুক, রামাল্লায় যে কর্তৃপক্ষই থাকুক, এখন এ থেকে বের হয়ে এসে আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার সময়।

এদিকে, মধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যবহার করে বোমা ফেলতে সক্ষম এমন ড্রোন তৈরি করেছে ইসরায়েল। এসব ড্রোন থেকে ফেলা বোমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো শব্দ বা ধোঁয়া উৎপন্ন করে না, যা শত্রুদের জন্য পূর্বাভাস পাওয়া বা হামলা এড়ানো কঠিন করে তোলে। এই ড্রোনের বৃহত্তম মডেলটি এক টন যুদ্ধাস্ত্র বহন করতে পারে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনীর বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

দুই দশকেরও বেশি সময় গোপনীয়তার পর ইসরায়েল গত জুলাইয়ে তার এই সশস্ত্র ড্রোন সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছিল। নভেম্বরে একজন ইসরায়েলি জেনারেল বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ ইউনিট পরিচালিত ড্রোনগুলোর বিষয়ে বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন। এই ড্রোন দিয়ে ফিলিস্তিনি শত্রুদের বাড়ির কাছাকাছি এবং সম্ভবত ইরান বা সুদান পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলার বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন। ক্যামিকাজ ড্রোন থেকে এই ড্রোনগুলো একেবারেই ভিন্ন। ২৮ জানুয়ারি ইরানের ইস্পাহানের একটি প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে এই ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে বলে তেহরান অভিযোগ করে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close