প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

ইউক্রেনের পাশে থাকবেন ইউরোপের নেতারা

* রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব * বেঁধে দেওয়া হবে জ্বালানি তেলের মূল্য * ইউক্রেনকে দ্রুত ইইউ সদস্য করার দাবি জেলেনস্কির

এক দিকে বাজছে বিমান হামলার সাইরেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানাতে দেশটির রাজধানী কিয়েভে জড়ো হন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সম্মেলনে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়া ছাড়াও রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনকে দ্রুত ইইউ সদস্য হওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

ইউক্রেনে রুশ হামলার বছর পূর্তির আগে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভে হয় ইইউ-ইউক্রেন শীর্ষ সম্মেলন। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিয়েভ। সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল ও ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন কিয়েভে পৌঁছান।

চার্লস মিশেল টুইটারে লিখেছেন, আমাদের সংকল্পে কোনো ঘাটতি নেই। ইউক্রেনকে ইইউ জোটভুক্ত করার যাত্রাপথে প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা সমর্থন করব।

গত বছর ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর ইইউ সদস্য হতে ইউক্রেন আবেদন করে। আবেদন গ্রহণ করা হলেও ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে থাকায় সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি ঝুলে আছে। সম্মেলনে সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর দাবি করেছেন জেলেনস্কি। তবে ইউক্রেনকে সদস্যপদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইইউ আরো কিছুটা সময় নেবে বলেই মনে হচ্ছে, যা সংগঠনটির কর্মকর্তাদের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগে আরো অনেক প্রয়োজনীয় বিষয় রয়েছে, যা ইউক্রেনকে সম্পন্ন করতে হবে।

এদিকে কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন বাজলেও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। সম্মেলন উপলক্ষে জেলেনস্কির পক্ষ থেকে রাশিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্মেলন শেষে চার্লস মিশেল, উরসুলা ভন ডার লিয়েন ও জেলেনস্কির এক যৌথ প্রেস ব্রিফিং করেন। সেখানে ইউরোপীয় নেতারা ‘ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিদ্যমান’ বলে মন্তব্য করেন।

ইইউ কর্মকর্তারা বলেন, সম্মেলন ইইউ কর্মকর্তারা ইউক্রেনের জন্য আরো সামরিক, আর্থিক ও জ্বালানি সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া ইইউ বাজারে প্রবেশ, মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আলোচনা হয়। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে পরিশোধিত রুশ জ্বালানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ।

এ ছাড়া যুদ্ধের অর্থ জোগানো ঠেকাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।

এদিকে ইইউর পক্ষ থেকে ইউক্রেনের কাছে আরো দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। জেলেনস্কির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close