প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩

ইউক্রেন যেভাবে পশ্চিমা অস্ত্রের পরীক্ষাগার

প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধে একের পর এক পাল্টা আক্রমণে রুশ বাহিনীর দখল থেকে বড় এলাকা ফিরে পেয়েছে ইউক্রেন। আমেরিকান কামান আর রকেট দিয়ে ব্যাপক প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

নিজস্ব আক্রমণ পদ্ধতিতে ভিনদেশি এসব কামান পরিচালনা যুদ্ধক্ষেত্রেই শিখেছেন ইউক্রেনের সেনারা। স্থানীয়ভাবে তাদের তৈরি কিছু সফটওয়্যার সহজেই ট্যাবলেট কম্পিউটার ও স্মার্টফোনগুলোকে পরিণত করছে লক্ষ্যবস্তুতে নিশানা করার কার্যকর যন্ত্রে, যা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীতে ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে।

সবশেষ খবর হলো ইউক্রেনকে ১৪টি লেপার্ড ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেবে ইউক্রেনকে। ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্র কীভাবে পশ্চিমা শক্তিগুলোর যুদ্ধাস্ত্র আর উদ্ভাবনী সমর কৌশলের পরীক্ষাগার হয়ে উঠেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে।

সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেন একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছে, যা স্যাটেলাইট ছবি আর গোয়েন্দা তথ্য পেলে সঠিক সময়ে হামলার একটি ছক তৈরি করে দিতে পারে, যা ব্যবহার করে যুদ্ধে থাকা

বাহিনীগুলো খুব কাছাকাছি থেকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালাতে পারে।

আর এটা যেহেতু অ্যাপ, খুব সহজেই এটা আপডেট কিংবা উন্নয়ন ঘটানো যায়। আবার একসঙ্গে অনেকে এটা ব্যবহার করতে পারে। যে মার্কিন কর্মকর্তারা ওই অ্যাপের বিষয়ে জানেন, তারা বলছেন, ইউক্রেনের কামান দিয়ে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে হামলা করার ক্ষেত্রে সেগুলো দারুণ কার্যকারিতা দেখিয়েছে।

সিএনএন লিখেছে, এরকম কৌশল বা সরঞ্জাম ইউক্রেন উদ্ভাবন করেছে, যেগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যয়বহুল সমস্যার তুলনামূলক সস্তা সমাধানের পথ বাৎলে দিয়েছে। প্রায় এক বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেন এসব অ্যাপ উদ্ভাবন আর উন্নয়ন ঘটিয়ে চলেছে। মাথার ওপর নিঃশব্দে উড়ে চলা ছোট্ট প্লাস্টিকের ড্রোন গ্রেনেড বা বিস্ফোরক ফেলে চলেছে রুশ সেনাদের ওপর। সেনারা যাতে যুদ্ধক্ষেত্রেই ভারী যন্ত্রপাতি মেরামত করতে পারে, সেজন্য থ্রিডি প্রিন্টারে খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি করা হচ্ছে এখন। ইউক্রেনের টেকনিশিয়ানরা সাধারণ পিকআপ ট্রাকগুলোকে ভ্রাম্যমাণ মিসাইল লঞ্চারে রূপান্তর করেছেন। মিগ-২৯ এর মতো পুরোনো সোভিয়েত যুদ্ধবিমানগুলোর সঙ্গে অত্যাধুনিক মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে যুক্ত করা যায়, সেই কৌশল রপ্ত করে নিয়েছেন ইউক্রেনের ইঞ্জিনিয়াররা। ফলে যুদ্ধ শুরুর এক বছর পরও ইউক্রেনের বিমানবাহিনী তাদের আকাশে অক্ষত থেকে উড়তে পারছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close