পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি তাকে হত্যার নতুন এক চক্রান্তের পেছনে আছেন। এ জন্য পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান জারদারি একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থও দিয়েছেন।

একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত এক বক্তৃতায় ইমরান খান এই অভিযোগ করেন বলে দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা ডনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

ইমরান খান বলেন, আগে এক জনসভায় সমর্থকদের বলেছিলাম, চারজন লোক আছে, যারা আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে; এ কথা বলায় ওই পরিকল্পনা ভ-ুল হয়ে গিয়েছিল। তারপর ধর্মের নামে আমাকে ‘শেষ করে দেওয়ার’ নতুন পরিকল্পনা ‘প্ল্যান বি’ হয়। কিন্তু আমি সেটাও জানতে পারি এবং দুটো জনসভায় ওই পরিকল্পনা উন্মোচন করে দিই।

লংমার্চে ওয়াজিরাবাদে তার ওপর হওয়া হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরো বলেন, এই চক্রান্তকারীরা প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। এখন তারা প্ল্যান সি বানিয়েছে, আর জারদারি এর পেছনে আছেন। তার আছে অফুরন্ত অবৈধ অর্থ, সিন্ধু সরকারের কাছ থেকে লুট করা যে অর্থ তিনি নির্বাচনে কাজে লাগান, বিধায়ক কেনেন; যেখানেই নির্বাচন হোক না কেন, খাইবার পাখতুনখোয়া বা গিলগিত-বালতিস্তান, তিনি সেখানে সমানে অর্থ ঢালেন। তিনি একটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে অর্থ দিয়েছেন। তার সহায়তাকারীরা সংস্থার প্রভাবশালী লোকজন। তিন দিক থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারা পরবর্তী অপরাধ কার্যকর করার নকশা সাজিয়েছেন। তবে যে চক্রান্তই হোক না কেন, সুস্থ হওয়ার পর ফের রাস্তায় নামবেন বলেও সমর্থকদের প্রতিশ্রুতি দেন ওয়াজিরাবাদে হামলায় আহত ইমরান।

তিনি বলেন, যদি আমার কিছু হয়ে যায়, তাহলে এর পেছনে কে আছে, তা জানা উচিত দেশের, যেন দেশ কখনোই তাদের ক্ষমা না করে।

এদিকে ইমরানের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পিপিপি নেতারা। দলটির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা সাজিয়া মারি বলেছেন, জারদারির দিক থেকে ইমরানের কোনো বিপদ নেই, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উচিত, তার ‘নিজের আস্তিনে থাকা সাপদের’ বিষয়ে সাবধান থাকা। পিপিপির আরেক নেতা সেলিম মন্দভিওয়ালা বলেছেন, জারদারির বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা অভিযোগ এনে ইমরান দেশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। ইমরান অতীতে নিজেই সন্ত্রাসীদের সমর্থক ছিলেন। ইমরান খানের মানসিক অবস্থার পরীক্ষা নিরীক্ষা দরকার। মিথ্যা অভিযোগ এনে তিনি সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছেন। তিনি এরকম মিথ্যা আর বিভ্রান্তিকর কল্পকাহিনি দিয়ে তার মৃত রাজনীতিকে বাঁচাতে চাইছেন।

"