ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এক দিনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির পক্ষ থেকে ইউক্রেনকে ট্যাংক দেওয়ার ঘোষণার পরপর বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশবাহিনী।

ইউক্রেনের জরুরি বিভাগ বলছে, এসব হামলায় আরো ১১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরার আঘাতে ৫৫ বছর বয়সি একজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ওই ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছিল।

বৃহস্পতিবার এক দিনে কিয়েভ, বাখমুতসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়া মোট ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এর মধ্য ৪৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা। এ ছাড়া ওদেসায় বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে ইউক্রেনের সেনারা দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে রুশ সেনাদের চালানো ড্রোন হামলার সময় ২৪টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে কিয়েভ ও এর আশপাশের এলাকায়। তবে এসব হামলার তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাধুনিক ট্যাংক চেয়ে আসছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত বুধবার জার্মানি জানিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে ১৪টি লেপার্ড-২ ট্যাংক দেবে। একই দিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে ৩১টি আব্রামস ট্যাংক দেবে বলেও জানিয়েছে। এর পরপরই ইউক্রেনজুড়ে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া।

এদিকে কানাডা বৃহস্পতিবার বলেছে, তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউক্রেনে ভারী ট্যাংক সরবরাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগ দেবে। এই উদ্যোগে কানাডা চারটি সম্পূর্ণ সক্রিয় লেপার্ড ট্যাংক পাঠাচ্ছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী অনিতা আনন্দ একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এই চারটি ট্যাংক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে মোতায়েন করা হবে। কানাডার ট্যাংকের সংখ্যা বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, কানাডা ইউক্রেনীয় সেনাদের ট্যাংক পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দিতে বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করবে।

এ ছাড়া নরওয়ে বুধবার বলেছে, তারা লেপার্ড-২ ট্যাংক ইউক্রেনে পাঠাবে এবং সুইডেন বলেছে, তারাও এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবে।

"