প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২৯ নভেম্বর, ২০২২

রুশ যুদ্ধ কৌশল পরিবর্তন বিপর্যস্ত ইউক্রেন

ইউক্রেনে ভারী তুষারপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শীত মৌসুমে সেখানে দিন ও রাতের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাচ্ছে। বর্তমানে সেখানে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ও তাপের ব্যবস্থা নেই। সবচেয়ে নাজুক অবস্থা রাজধানী কিয়েভে। এই সুযোগে রাশিয়া যুদ্ধ কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। রুশ বাহিনী ইউক্রেনজুড়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে। তারা চায় এ শীতেই ইউক্রেনে যুদ্ধে জয় করতে।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) কিয়েভ নগরীতে তুষারপাত হয়েছে। এখানে যুদ্ধের আগে ২৮ লাখ মানুষ বাস করত। যুদ্ধের কারণে বহু বেসামরিক নাগরিক ওই নগরী ছেড়ে পালিয়েছে। শীতকাল আসায় এখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে গেছে। এ সপ্তাহের অর্ধেক সময় পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে ইউক্রেন। খবর আলজাজিরার।

শনিবার দেশটির বিদ্যুৎ বিভাগের অপারেটর ইউক্রেনারগো বলেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা সারা দেশে বিভিন্ন বিধিনিষেধ এবং ব্ল্যাকআউটের কারণে মাত্র তিন-চতুর্থাংশ মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে।

রাজধানী কিয়েভে জ্বালানি শক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াসনোর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সের্গেই কোভালেনকো বলেছেন, শহরের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, কিন্তু এখনো সেখানকার অবস্থা অনেক নাজুক। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এখানকার বাসিন্দাদের প্রতিদিন কমপক্ষে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতে হবে। যারা এই পরিমাণের চেয়ে কম বিদ্যু পান তাদের তার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।

এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সর্বশেষ বোমা হামলার পর শুক্রবার সারা দেশে ৬০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে যে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে জয়লাভ করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ইউক্রেনকে ঠাণ্ডায় জমিয়ে নতি স্বীকার করাতে চায়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন এই মাসের শুরুতে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মনে হয় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তিনি যদি জোর করে ইউক্রেন দখল করতে না পারেন, তবে তিনি দেশটিকে ঠাণ্ডায় জমিয়ে দেবেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের রাষ্ট্র-পরিচালিত পারমাণবিক শক্তি সংস্থা ইনার্গোএটম বলেছিল, দেশজুড়ে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে। এরপর তিনটি ইউক্রেনীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাওয়ার ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

অক্টোবর থেকে রাশিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন জ্বালানি এবং তাপ সরবরাহ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। এ বিষয়ে রুশ কর্তৃপক্ষ বলেছে যে তাদের লক্ষ্য ইউক্রেনের লড়াই করার ক্ষমতা হ্রাস করা এবং দেশটিকে (শান্তি) আলোচনায় বাধ্য করা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close