প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক
সাগরে ব্যালাস্টিক মিসাইল ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া
একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সর্বশেষ রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাগরে একটি ব্যালাস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে কিম জং উনের সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ায় যৌথ মহড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি রণতরী আসার পর এ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। খবর বিবিসির।
সিউল জানিয়েছে, রবিবার সকাল ৭টার ঠিক আগে পূর্ব উপকূল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়ে উত্তর কোরিয়া। এটি স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বলে শনাক্ত করেছে সামরিক কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, পিয়ংইয়ং থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়। সেটি ৬০ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে গুরুতর উসকানি হিসেবে বিবেচনা করছে সিউল।
সিউলের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছে গত শুক্রবার। এছাড়া চলতি সপ্তাহেই সিউল সফরের পরিকল্পনা করছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার এমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সিউলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত ভঙ্গিতে রয়েছে। সতর্কতা জোরদার ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে জাপানও। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন, টোকিও অনুমান করছে ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন এলাকার বাইরে পড়েছে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের এমন আচরণ আমাদের দেশ, অঞ্চল ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। গত জুনের পর এটাই উত্তর কোরিয়ার প্রথম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। জুনের শুরুতে এক দিনে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল দেশটি।
"